This Article is From Jul 23, 2019

“তথ্য জানার অধিকার আইনকে গুরুত্বহীন করে দিল কেন্দ্র”, বললেন সনিয়া গান্ধি

এই সংশোধনী বিলকে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা “আরটিআই বর্জন বিল” নাম দিয়েছেন

“তথ্য জানার অধিকার আইনকে গুরুত্বহীন করে দিল কেন্দ্র”, বললেন সনিয়া গান্ধি

আরটিআই অ্যাক্টের দ্বারা উপকৃত হয়েছেন ৬০ লক্ষেরও বেশি মানুষ

নিউ দিল্লি:

বিরোধীদের আপত্তিতে আমল না দিয়েই সোমবার লোকসভায় পাশ হয় “তথ্য জানার অধিকার আইনের সংশোধনী বিল” (RTI Amendment Bill)। তার একদিন পর কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধি ওই আইন সংশোধন প্রসঙ্গে (Sonia Gandhi on RTI Amendment Bill) মুখ খুললেন। তিনি অভিযোগ করেন যে লোকসভায় ওই বিতর্কিত সংশোধনী বিল পাশের মাধ্যমে কেন্দ্র আসলে  “ঐতিহাসিক তথ্য জানার অধিকার আইন বিলোপ” করার চেষ্টা করছে। ওই “তথ্য জানার অধিকার আইনকে একেবারে গুরুত্বহীন করে দিল কেন্দ্র”, বলেন সনিয়া গান্ধি। ৭২ বছরের ওই কংগ্রেস নেত্রী বলেন, "এটি অত্যন্ত উদ্বেগের ব্যাপার যে কেন্দ্রীয় সরকার ঐতিহাসিক তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইন, ২০০৫-কে (RTI Act 2005) সম্পূর্ণরূপে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে"। তিনি বলেন, "এই আইনটি একসময় বিস্তর আলোচনার পর প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়,  সেটিই এখন বিলুপ্তির প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে"।

42hsp59g

সোমবার লোকসভায় এই তথ্য জানার অধিকার আইনের সংশোধনী বিলটি পাশ হয়। এই সংশোধনী অনুযায়ী ক্ষমতায়ন, বেতন, ভাতা এবং কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির তথ্য কমিশনারদের অন্যান্য শর্তাদি নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। বিরোধী দলগুলি, "আরটিআই বিলুপ্তি বিল" হিসাবে এই সংশোধনী বিলের নাম দিয়ে দাবি করেছে যে আরটিআই কর্তৃপক্ষকে কর্মসংস্থান ও কর্মসূচির আওতায় আনার জন্য সরকারের অনুমোদন দেওয়ার এই বিষয়টি তাদের স্বাধীনতা হরণ করবে।

তথ্য জানার অধিকার আইন পাশ, স্বচ্ছতা আইন লঘু হয়ে যাবে, মত বিরোধীদের

সৎ আধিকারিকদের চাকরি ও বেতন সংক্রান্ত ক্ষমতা কেন্দ্রের দখলে থাকার ফলে  এবার তাঁরাও সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ করে দেবে,  দাবি করেন বিরোধীরা। পাশাপাশি তাঁরা এও দাবি করেছেন যে এই বিলটি রাজ্যসভায় পাশ হতে দেবেন না তাঁরা,  কেননা সেখানে ক্ষমতাসীন বিজেপির সাংসদ ততটা না থাকায় বিলটি পাশ করাতে বিরোধীদের সমর্থনের প্রয়োজন পড়বে।

প্রস্তাবিত সংশোধনীর মধ্যে রয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রের তথ্য কমিশনারের বেতন ও মেয়াদ। বর্তমানে তথ্য কমিশনারের কাজের মেয়াদ পাঁচ বছর....তবে “কেন্দ্রীয় সরকারের মতানুযায়ী মেয়াদকাল” হতে পারে। তাঁদের বেতনও নির্ধারণ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তথ্য কমিশনারের বেতন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সমান।

প্রধানমন্ত্রী মোদি কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করার জন্যে আমেরিকাকে বলেনি, সাফ জানাল ভারত

যদিও সরকারের তরফে বলা হয়, তথ্য কমিশনারের কোনও ক্ষমতা কমানো হচ্ছে না, শুধুমাত্র কতগুলি বিশৃঙ্খলা ঠিক করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, “আমরা হস্তক্ষেপ করছি না, এবং প্রতিষ্ঠানের স্বশাসনে প্রভাব পড়ার মতো কিছু করা হবে না”।

সোনিয়া গান্ধি মঙ্গলবার দাবি করেছেন যে গত দশকে ৬০ লক্ষেরও বেশি মানুষ আরটিআই আইন ব্যবহার করেছে এবং আইনটি "স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহির নতুন সংস্কৃতি"র প্রকাশ করেছে। তিনি আরো বলেন, "সমাজের দুর্বল অংশের মানুষরা আরটিআইয়ের সক্রিয় ব্যবহারে দারুণভাবে উপকৃত হয়েছেন"।

.