India-China Border Problem: মণীষ তিওয়ারি অভিযোগ করেন যে কেন্দ্র চিনা আগ্রাসনের বিষয়টি ঠান্ডা ঘরে পাঠানোর চেষ্টা করছে
নয়া দিল্লি: দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদ কি বিজেপির (BJP) একার সম্পত্তি, ঠিক এভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল কংগ্রেস (Congress)। লাদাখ (Ladakh) দিয়ে ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে ঢুকে সম্প্রতি চিনা সৈন্যরা আগ্রাসন (India-China Border Problem) চালিয়েছে, দেশের কতটা জমি নিজেদের দখলে নিয়েছে তাঁরা, চিনের সেনাবাহিনীকে সরাতে কী ব্যবস্থাই বা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, এই সবকিছু বিষয় নিয়ে এর আগে স্পষ্ট করে জানতে চেয়েছিল কংগ্রেস। ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধি. আর তারপরেই নজিরবিহীনভাবে কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতিকে আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁরই জবাবে এবার মুখ খুললেন কংগ্রেসের মুখপাত্র মণীষ তিওয়ারি। তিনি বলেন, "আমরা ওঁদের বলতে চাই যে দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদ এনডিএ-বিজেপি-র একচেটিয়া সম্পত্তি নয় এবং তা আইনমন্ত্রীরও সম্পত্তি নয়। সরকারের কাছে কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা দেশদ্রোহিতা নয়, বরং তাঁদের এই জবাব না দেওয়ার বিষয়টিই দেশপ্রেমিক সুলভ নয়"।
মণীষ তিওয়ারি বলেন, প্রাক্তন সেনা জেনারেল এবং প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে প্রায় ৪০-৬০ বর্গকিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড চিনা সৈন্যরা "অবৈধভাবে দখল" করেছে। এবিষয়ে প্রশ্ন তুলেই ওই কংগ্রেস নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলতে হবে যে এর জন্য কে বা কার দায়বদ্ধ এবং এর কোনও দায় তিনি নেবেন কিনা।
"এটা কি সত্যি যে চিনের সেনারা ৪০-৬০ বর্গকিলোমিটার ভারতীয় অঞ্চল দখল করেছে? এর জন্য কে দায়ী? সরকার কি এই ঘটনার জবাবদিহি করবে? দেশ এই সম্পর্কে জানতে চায়", একটি অনলাইন সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জিজ্ঞাসা করেন মণীষ তিওয়ারি। ওই কংগ্রেস নেতা আরও প্রশ্ন করেন, "আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিনা অনুপ্রবেশ সম্পর্কেও জানতে চাই। চিনা সেনারা ভারতে কীভাবে প্রবেশ করতে পেরেছিল?"
বুধবার সকালে ইন্দো-চিন সীমান্ত উত্তেজনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গান্ধি । এই টুইটের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেন এই ধরণের আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে টুইটারে রাহুল গান্ধির কোনও প্রশ্ন করা উচিত নয়। রীতিমতো কটাক্ষের সুরে ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "রাহুল গান্ধির জানা উচিত টুইটারে আন্তর্জাতিক বিষয় বিশেষ করে চিন সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন করা উচিত নয়। উনি বালাকোট সার্জিক্যাল স্ট্রাইকেরও প্রমাণ চেয়েছিলেন টুইটারে।"