কেন্দ্রীয় সরকারকে আরবিআইয়ের ১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ বিষয়ে কটাক্ষ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির
হাইলাইটস
- কেন্দ্রীয় সরকারকে ১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করল আরবিআই
- এই পদক্ষেপের প্রতি কটাক্ষ রাহুলের
- এই প্রসঙ্গে এদিন সকালে টুইট করেন রাহুল
নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারকে ১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) এই পদক্ষেপের প্রতি কটাক্ষ করে জানালেন এটা ‘‘আরবিআই (RBI) থেকে চুরি'' করারই নামান্তর। এই নিয়ে একটি টুইট করেন রাহুল। তাতে তিনি লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বুঝতে পারছেন না তাঁদের নিজেদেরই সৃষ্টি করা আর্থিক বিপর্যয়ের সমাধান কী করে করবেন। আরবিআই থেকে চুরি করে লাভ হবে না। এটা যেন ওষুধের দোকান থেকে ব্যান্ড এড চুরি করে গুলিতে আহত কারও ক্ষতে লাগানোর মতো ব্যাপার।'' আবাসন থেকে উৎপাদন— বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাপে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে তাদের এই অর্থ বরাদ্দ করেছে আরবিআই। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, বরাদ্দ অর্থের মধ্যে ১.২৩ লক্ষ কোটি টাকা ডিভিডেন্ড ও ৫২,৪০০ কোটি টাকা বাড়তি মূলধন।
ডিভিডেন্ডের ২৮,০০০ কোটি টাকা গত ফেব্রুয়ারিতেই কেন্দ্রকে দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও একটি টুইট করা হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, ‘‘১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকা সরকারকে দিয়েছে আরবিআই। এই সম পরিমাণ টাকাই বাজেট ২০১৯-এর ঘাটতি। কোথায় ওই টাকা খরচ হল। আরবিআই লুঠ করলে কেবল আমাদের অর্থনীতিরই বিপর্যয় হবে ও ব্যাঙ্কের সুদ কমবে।''
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ গত সপ্তাহেই দেশীয় ঋণদাতাদের তাৎপর্যপূর্ণ পুঁজি সংগ্রহ সহ সামগ্রিক বৃদ্ধি ঘটাতে বিভিন্ন পদক্ষেপের ঘোষণা করেন। এমনকী তিনি মোট দেশজ উৎপাদন থেকে ৩.৩ শতাংশের সংকীর্ণ রাজস্ব ব্যবস্থার লক্ষ্য অর্জনেও সচেষ্ট রয়েছেন।
গত বছরের অক্টোবরে বিরোধী দল, অর্থনীতিবিদ ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়। শোনা গিয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকার একটি কখনও ব্যবহৃত না হওয়া আইনি বিধানকে ব্যবহার করতে চাইছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ৭-এর ধারার ওই আইন অনুযায়ী, কেন্দ্র অনুমোদিত এক অধিকর্তাকে নিয়োগ করা যায় যিনি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সব ক্ষমতা প্রযোগ করতে পারেন।
প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর বিরল আচার্য এরপর হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে চাইলে তার ফল ভুগতে হবে।