"প্রকল্প রূপায়ণ এতটাই অকার্যকরী যে নিশ্চিতভাবে কারো-না (এটা হয়ে গেছে) ভাইরাস প্রতিরোধী।"টুইট করেন শশী থারুর।
হাইলাইটস
- কেন্দ্রের প্রকল্প রূপায়ণকে কটাক্ষের সুরে বিঁধতে করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গ
- শুক্রবার টুইট করে এই প্রসঙ্গ টানেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর
- কেন্দ্রের সরকারের বড় সমালোচক কেরল থেকে নির্বাচিত এই সাংসদ
নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারী প্রকল্পগুলোর রূপায়ণ প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে (Narendra Modi government) বিঁধতে গিয়ে করোনা ভাইরাস (Coronavirus) প্রসঙ্গ টানলেন শশী থারুর। এদিন তিনি (Sashi Tharoor) টুইট করে বলেন, "এটা নিশ্চিত সরকারের প্রকল্প রূপায়ণ এতটাই অকার্যকরী যে এগুলো সম্পূর্ণ কারো-না (এটা হয়ে গেছে) ভাইরাস প্রতিরোধী (Immune to Karo-Na Virus)।" এদিকে খবর, চিন থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাসের প্রকোপে সে দেশে মৃত্যু প্রায় ৬৫০ ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত প্রায় ৩১ হাজার মানুষ। প্রায় ২০টি'র বেশি শহরে ২৫০ জন আক্রান্ত হয়ে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ভারতে সবচেয়ে বেশি করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা কেরলে। আর সেই রাজ্য থেকেই নির্বাচিত সাংসদ শশী থারুর।
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে চিন সফর বাতিল ভারতীয় মহিলা হকি দলের
দেখুন শশী থারুরের সেই টুইট:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের অন্যতম বড় সমালোচক তিরুবনন্তপুরমের এই কংগ্রেস সাংসদ। সংসদে হোক কিংবা সোশাল মাধ্যমে, কেন্দ্রের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। বৃহস্পতিবার সংসদের এক বিতর্কসভায় কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা বিলোপ প্রসঙ্গকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার ফের একবার এমন টুইট করে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ালেন শশী থারুর।
অপরদিকে, এদিন থারুরের দল কংগ্রেসও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিঁধতে হোয়াটস অ্যাপ ইউনিভার্সিটির প্রসঙ্গ তোলে। কেন্দ্রের প্রাক্তন ওই শাসক দলের মন্তব্য ছিল, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে ৬ মাস ধরে গ্রেফতার করে রাখার ঘটনার ন্যায্যতা প্রমাণ করার জন্য একটি "ব্যঙ্গাত্মক ওয়েবসাইট" থেকে নিজের ভাষণ তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার সংসদে কাশ্মীরের ওই রাজনীতিবিদকে নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, আর সেই বিবৃতিকেই রীতিমতো উপহাস করল অন্যতম বিরোধী দল। শুক্রবার ওমর আবদুল্লার দল জানিয়েছে, ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা কখনোই বলেননি যে ওই রাজ্যের বিশেষ মর্যাদাকে বাতিল করা হলে "এমন একটি ভূমিকম্প হবে যা কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করে দেবে।"
করোনা ভাইরাসকে “রাজ্য বিপর্যয়” ঘোষণা প্রত্যাহার করল কেরল
বৃহস্পতিবার সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, "মেহবুবা মুফতি বলেছিলেন, 'ভারত কাশ্মীরকে প্রতারণা করেছে। এই কথা শুনলে মনে হয় আমরা ১৯৪৭ সালে ভুল দিকটি বেছে নিয়েছি।' ওমর আবদুল্লা বলেছিলেন, '৩৭০ ধারা অপসারণ করলে একটি ভূমিকম্প আসবে যা কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করবে'। ফারুক আবদুল্লা বলেছিলেন, '৩৭০ ধারা অপসারণ করা হলে' , ভারতের পতাকা উত্তোলনের জন্য উপত্যকার কেউ বেঁচে থাকবে না'। আপনারাই বলুন, ভারতীয় সংবিধানে প্রতি নিবেদিত প্রাণ কোনও ব্যক্তি কখনও এসব কথা মেনে নিতে পারবেন?