This Article is From Oct 28, 2019

“গণতন্ত্রের অপমান”, জম্মু ও কাশ্মীরে বিদেশী প্রতিনিধিদের সফর নিয়ে মন্তব্য শশী থারুরের

মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরে যাবেন ইউরোপিয় ইউনিয়নের ২৭ জনের প্রতিনিধি

“গণতন্ত্রের অপমান”, জম্মু ও কাশ্মীরে বিদেশী প্রতিনিধিদের সফর নিয়ে মন্তব্য শশী থারুরের

শশী থারুরের প্রশ্ন, কেন জম্মু ও কাশ্মীরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বিরোধীদের

নয়াদিল্লি:

জয়রাম রমেশের পর এবার, জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ইউরোপিয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের (European Union) সফর সম্পর্কে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor), যেখানে স্থানীয় নেতারাই সেখানে যেতে পারছেন না, সেখানে কীভাবে বিদেশ প্রতিনিধি দলকে যেতে দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “আমার অনুরোধ, যেটা আমি লোকসভায় ৩৭০ ধারা বিতর্কের সময় করেছিলাম, জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে, সর্বদলীয় প্রতিনিধি পাঠানো হোক, এখনও গ্রহণ করা হয়নি। অথচ সরকারের অতিথি হিসেবে সেখানে যেতে পারেন, ইউরোপিয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা? গণতন্ত্রের কী দারুণ অপমান”!

মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরে যাবেন ইউরোপিয় ইউনিয়নের ২৭ জনের প্রতিনিধি, দুমাস আগে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর, সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দাদের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলবেন বলে মনে করা হচ্ছে, ৫ অগস্ট থেকে তাঁদের অভিজ্ঞতা নিয়েও কথা বলবেন স্থানীয়দের সঙ্গে।

এর আগে, জয়রাম রমেশ বিষ্ময় প্রকাশ করেন, জম্মু ও কাশ্মীরে বিদেশী নেতাদের কেন যেতে দিচ্ছে “জাতীয়তাবাদের বুক চাপড়ানো চ্যাম্পিয়ন”, যা ভারতীয় রাজনীতিকদের দেওয়া হয়নি। তিনি ট্যুইটে লেখেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে দেখা করার ক্ষেত্রে যখন, ভারতীয় রাজনৈতিক নেতাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি, কী কারণে, জাতীয়তাবাদের বুক-চাপড়ানো চ্যাম্পিয়ন, ইউরোপিয় রাজনৈতিক নেতাদের সেখানে সফরের অনুমতি দিচ্ছেন। এটা সরাসরি ভারতের সংসদ এবং গণতন্ত্রের অপমান”।    

সোমবার সকালে ইউরোপিয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে ছবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এই সফর, জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে তাঁদের জানাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। যদিও এই সফরের পক্ষে নন প্রাক্তন কূটনীতিক কেসি সিংসহ অনেকেই।

.

কংগ্রেস নেতা মনীশ তিওয়ারি ট্যুইট করেন, “সম্ভবত ভারতীয় সাংসদরা, যাতে জম্মু ও কাশ্মীরে যেতে পারেন, তারজন্য ইউরোপিয় সংসদে নির্বাচিত হওয়ার চেষ্টা করবেন”।

জম্মু ও কাশ্মীরে এই সফর ঘিরে ট্যুইটে প্রশ্ন তুলেছেন পিডিপি নেত্রী মহবুবা মুফতির কন্যা, মায়ের ট্যুইটারটি হ্যান্ডেল করেন তিনি। সেখানেই মুফতি কন্যা লেখেন, “যদি ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে অখণ্ড হিসেবে তুলে ধরে, তাহলে কেন শ্রী রাহুল গান্ধিকে সেখানে যেতে বাধা দেওয়া হল? তা সত্ত্বেও, অতি দক্ষিণপন্থী এবং ফ্যাসিবাদি ইউরোপিয় সাংসদদের সেখানে যেতে দিচ্ছে ভারত সরকার। আপনি কাশ্মীরে যেতে পারবেন, একমাত্র যদি আপনি মুসলিমদের প্রতি ঘৃণাযুক্ত ফ্যাসিবাদি হোন”।

.

২৫ অগস্ট শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় রাহুল গান্ধির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলকে। সেই মাসেই শ্রীনগর বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করলে, আটক করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদকে, যুক্তি দেওয়া হয়, রাজনৈতিক নেতাদের, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে দিলে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে।

.