২০১৩ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে টুইটারে সবচেয়ে বেশি ফলোয়ার ছিল শশী থারুরের।
New Delhi: কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor) মাধেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন সব শব্দ ব্যবহার করেন, যাক জেরে নেটিজনদের ডিকশনারি হাতড়াতে হয়। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ‘ভাষা চ্যালেঞ্জ' নিলেন তিনি। এবং তারপর একই শব্দের তিনটি ভিন্ন ভাষায় প্রয়োগ করলেন। প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) প্রস্তাব প্রত্যেক ভারতীয় প্রতিদিন যে কোনও ভাষায় একটি শব্দ শিখবেন। একথা উল্লেখ করে শশী বলেন, এর ফলে হিন্দি ভাষার আধিপত্য কমবে। তিনি ইংরেজি ‘প্লুরালিজম' শব্দটি ইংরেজিতে টুইট করে তার হিন্দি ও মালয়ালম শব্দরূপও লিখে দিলেন টুইটারে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোচির এক মালয়ালম এক সংবাদ সংস্থার উদ্বোধনে বলেন, ‘‘ভারতই সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে এত ভাষা রয়েছে। এর ফলে বাধ্যতামূলক বিভিন্নতাও রয়েছে। কিন্তু ভাষাকে স্বার্থপরতার কারণে কৃত্রিম দেওয়াল তুলে দেশকে বিভক্ত করার প্রয়াসও করা হয়।''
মোদির প্রশংসা কেন, শশী থারুরের মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাইবে কংগ্রেস
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমরা সহজেই একটি শব্দকে দেশের ১০ থেকে ১২টি ভিন্ন ভাষায় প্রকাশ করতে পারি। এইভাবে একজন এক বছরে বিভিন্ন ভাষায় ৩০০-রও বেশি শব্দ শিখে ফেলতে পারবে। ''
শশী থারুর পরে টুইট করে জানান, প্লুরালিজম মালয়ালমে সুন্দরভাবে অনুবাদ করা হয়েছে বহুস্বরত্ব (বহু কণ্ঠস্বর) ও পরে বহুবচনম (বহ বচন) হিসেবে।
তিরুবনন্তপুরম লোকসভা থেকে তিনবারের সাংসদ শশী থারুর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই তাঁর ভাষার জাদু দেখান। ব্যঙ্গোক্তি ও সরস মজায় তিনি প্রবল জনপ্রিয় নেটিজেনদের মধ্যে।
ছিলেন শশী, হলেন শেক্সপিয়র! টুইটারে ভাইরাল শশী থারুরের নতুন পোস্ট
একবার একটি পোস্টে তিনি ব্যবহার করেন এমন একটি শব্দ যাতে রয়েছে ২৯টি অক্ষর। শব্দটি হল ‘ফ্লকসিনাসিনিহিলিফিলিফিকেশন'। সত্যজিৎ রায়ের ‘আগন্তুক' ছবিতে উৎপল দত্তর মুখেও এই শব্দটি শোনা গিয়েছিল। নিজের বই ‘দ্য প্যারাডক্সিকাল প্রাইম মিনিস্টার' প্রসঙ্গে ওই শব্দ ব্যবহার করেন শশী। তিনি লেখেন, ‘‘আমার নতুন বই ‘দ্য প্যারাডক্সিকাল প্রাইম মিনিস্টার' ৪০০ পাতারও বেশি জায়গা জুড়ে ফ্লকসিনাসিনিহিলিফিলিফিকেশন-এর অনুশীলন।'' সেই সঙ্গে ওই বিরাট শব্দটির বিস্তৃত ব্যাখ্যাও করেন তিনি।
তাঁর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে শশী নিজেকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, তিনি এমন এক ব্যক্তি যিনি রাজনৈতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহারের এক পথিকৃত। ২০১৩ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে টুইটারে তাঁরই সবচেয়ে বেশি ফলোয়ার ছিল। পরে তাঁর ছাপিয়ে যান নরেন্দ্র মোদি।