কংগ্রেসের "গণতন্ত্রকে খুন করা হচ্ছে" অভিযোগের বিরূদ্ধে তোপ দাগলেন অমিত শাহ।
নয়াদিল্লি:
গণতন্ত্রকে ঠিক সেই মুহূর্তেই ‘খুন’ করা হয়েছিল, যখন, ‘মরীয়া’ কংগ্রেস সামান্য রাজনৈতিক লাভের আশায় কর্নাটকে সরকার গড়ার লক্ষ্যে জেডিএসের কাছে ‘সুযোগসন্ধানী’ প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিল। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ আজ, “গণতন্ত্রের খুন” হচ্ছে বলে যে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস, তার বিরূদ্ধে এভাবেই তোপ দাগলেন।
কর্নাটকে সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজ্যপাল ভাজুভাই ভালা বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদ্দুরাপ্পাকে সরকার গড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর পরে কংগ্রেস গতকাল জানিয়েছিল যে, এতে “গণতন্ত্রের খুন হল এবং সংবিধানকে পদদলিত করা হল”।
এই অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে অমিত শাহ টুইট করে বলেন, “গণতন্ত্রের খুন ঠিক সেই মুহূর্তেই হয়ে গিয়েছে, যখন মরীয়া কংগ্রেস একটি ‘সুযোগসন্ধানী’ প্রস্তাব নিয়ে জেডিএসের কাছে গিয়েছিল, কর্নাটকের ভালোর জন্য নয়, নিজেদের আখের গোছানোর জন্য,যা অত্যন্ত নিন্দনীয়”।
তিনি কংগ্রেসের এই পতন নিয়েও কথা বলেন। 2013 সালের 122টি আসন থেকে কংগ্রেস এইবারে 78-এ নেমে গিয়েছে। অথচ তাঁর দল মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে 104টি আসন নিয়ে। বিজেপির সঙ্গে আছে জনাদেশ, যা দিয়ে সরকার গঠন করা যায়। বলেন তিনি।
“কর্নাটকে মানুষের রায় কার সঙ্গে আছে? 104টি আসন জেতা বিজেপির সঙ্গে নাকি 78 আসনে নেমে যাওয়া কংগ্রেসের সঙ্গে, যাদের মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য বহু মন্ত্রী বিপুল ভোটে হেরে গিয়েছেন। জেডিএস জিতেছে 37টি আসনে এবং বহু জায়গায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে, মানুষ অত বোকা নয়”। আরেকটি টুইট করে তিনি এ কথা বলেন।
বিজেপি দলনেতা বি এস ইয়েদ্দুরাপ্পা দ্বিতীয়বার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করলেন। সারারাত ব্যাপী ধুন্দুমার আইনিযুদ্ধ চলার পরেও সুপ্রিম কোর্ট শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি স্থগিত রাখার আদেশ দেয়নি।
ইয়েদ্দুরাপ্পাকে তাঁর সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার জন্য 15 দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির এখন 104 জন বিধায়ক। ম্যাজিক ফিগারের থেকে আটজন কম। অন্যদিকে, কংগ্রেস এবং জেডিএস, যারা নির্বাচনোত্তর জোটের কথা ঘোষণা করে দিয়েছে, তাদের আসন সংখ্যা যথাক্রমে 78 এবং 37।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)