রাফাল মামলায় কয়েকটি তথ্যের ব্যবহার নিয়ে রায় দেয় শীর্ষ আদালত।
হাইলাইটস
- সুপ্রিম কোর্টে নতুন হলফনামা দাখিল করে ক্ষমা চাইবেন রাহুল গান্ধী
- বিজেপির দাবি তাতে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি ছিল না
- মঙ্গলবার আদালতে তাঁর আইনজীবী জানান নতুন হলফনামা দায়ের করে ক্ষমা চাইবেন
নিউ দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court ) নতুন হলফনামা দাখিল করে ক্ষমা চাইবেন রাহুল গান্ধী (Congress President )। রাফাল যুদ্ধ বিমান নিয়ে শীর্ষ আদালতের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা করায় আগেই হলফনামা দিয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু বিজেপির দাবি তাতে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি ছিল না। তাই মঙ্গলবার আদালতে তাঁর আইনজীবী জানান নতুন হলফনামা দায়ের করে ক্ষমা চাইবেন। রাফাল যুদ্ধবিমান (Rafale Aircraft) সম্পর্কিত একটি মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সে সময় সে সম্পর্কে একটি মন্তব্য করে বসেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Congress President)। তিনি বলেন সুপ্রিম কোর্ট বলেছে চৌকিদার চোর। এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর সুপ্রিম কোর্টের তরফে কংগ্রেস সভাপতিকে নোটিশ পাঠানো হয়। সেই প্রেক্ষিতে ক্ষমা চেয়েনেন রাহুল তিনি বলেন সুপ্রিম কোর্ট ওই ধরনের কোনো কথা বলেনি। রাহুলের মন্তব্য প্রসঙ্গে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়েছিল।
রাজীবকে হেফাজতে পেতে সুপ্রিম কোর্টে প্রমাণ দিতে হবে সিবিআইকে
সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল রাহুল আদালতের পর্যবেক্ষণের ভুল ব্যাখা করেছিলেন। আর তাই সপ্তাহ খানেক আগে তাঁকে নোটিশ পাঠায় শীর্ষ আদালত। সে সময় বলা হয়েছিল বিজেপি যে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা দায়ের করেছেন সে নিয়ে তিনি ভাবছেন তাও আদালতকে জানাতে হবে। আগামী কাল এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
রাফাল যুদ্ধ বিমান নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যের ভুল ব্যাখা করার অভিযোগ ওঠে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice Of India ) রঞ্জন গগৈ জানান, আদালতের পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমে যে বক্তব্য বলা হয়েছে তা ঠিক নয়। আদালত নিজের পর্যবেক্ষণে কখনওই এরকম কোনও কথা বলেনি। আদালতের পর্যবেক্ষণ কয়েকটি তথ্যের গ্রহণযোগ্যতার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
বিতর্কের শুরু কয়েক সপ্তাহ আগে। রাফাল মামলায় কয়েকটি তথ্যের ব্যবহার নিয়ে রায় দেয় শীর্ষ আদালত। এই সমস্ত তথ্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে এই সমস্ত তথ্য বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে বলে সেগুলি মামলার অংশ হতে পারে না। সেই বক্তব্য খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।