আজ রাহুলের পৌরোহিত্যে হল নবগঠিত কংগ্রেস ওয়ারকিং কমিটি ( সিডব্লুসি)-র প্রথম বৈঠক।
নিউ দিল্লি: অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রথমে তীব্র আক্রমণ পরে উষ্ণ আলিঙ্গন করে কংগ্রেস শিবিরকে চাঙ্গা করে দিয়েছেন সভাপতি রাহুল গান্ধি। এবার তাঁর পৌরোহিত্যে হল নবগঠিত কংগ্রেস ওয়ারকিং কমিটি ( সিডব্লুসি)-র প্রথম বৈঠক। গত ডিসেম্বর মাসে সভাপতি হন রাহুল। তারপর দলের এই সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি নতুন করে গঠন করেন তিনি। এদিনের বৈঠকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের রণনীতি কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। রাহুল জানান তিনি চান সমমনোভাবাপন্ন দলগুলিকে সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে। এ ব্যাপারে ওয়ারকিং কমিটিও তাঁর পাশে আছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধিও বলেছেন দেশেকে ভয়াবহ পরিস্থিতির হাত থেকে বের করে নিয়ে আসতে জোট প্রশ্নে সকলেরই উচিত সভাপতির পাশে থাকা।
এ মাসের 17 তারিখ এই কমিটিতে বেশ কিছু রদবদল আনেন রাহুল। দীর্ঘদিন ধরে কমিটিতে আছেন এমন বেশ কয়েকজন প্রবীণ নেতাকে সরিয়ে দেন তিনি। সেই তালিকায় আছেন, দিগ্বিজয় সিং, জনার্দন দ্বিবেদী, কমলনাথ, সুশীলকুমার শিন্ডে এবং করণ সিং । এঁরা বাদ পড়লেও থেকে গিয়েছেন, এ কে অ্যান্টনি, আহমেদ প্যাটেল, অম্বিকা সোনি, মতিলাল ভোরা, গুলাম নবি আজাদ, মল্লিকার্জুন খাড়গে, আনন্দ শর্মা এবং কুমারি শৈলজার মতো নেতারা।
বৈঠক শেষে বেশ কয়েকটি টুইট করেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। তাতে তিনি লেখেন বৈঠকে রাহুল বলেছন, কংগ্রেসকে দেশের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে হবে। বিজেপি যেভাবে সংবিধান থেকে শুরু করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এবং দলিত ও সমাজের পিছিয়ে থাকা অংশের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনছে তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে কংগ্রেসকেই। এই বৈঠকেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে আত্ম প্রচার করেন এবং মিথ্যা বলেন আমি সেই সংস্কৃতির বিরোধিতা করি।
নতুন করে তৈরি হওয়ার পর এই কমিটিতে সাধারণ সদস্যের সংখ্যা 23। স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য 19 জন। মহিলা বিল পাস করিয়ে সংসদ ও বিধানসভাগুলিতে 33 শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত কররা দাবি জানিয়ে আসা কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটিতে সাধারণ মহিলা সদস্যের সংখ্যা তিন।
কমিটির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিলা দীক্ষিত, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, রণদীপ সুরজেওয়ালা, তারিক হামীদ কাররা এবং পিসি চাকো।
এই সমস্ত সদস্য ছাড়াও এদিনের বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহৌলট, তরুণ গৈগৈ,সিদ্ধার্থনাথ, এবং হরিশ রাওয়াত। তাছাড়া সমস্ত রাজ্যের কংগেস সভাপতিরাও বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েছেন।