কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি বলেছেন জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করবে না দল। (ফাইল ছবি)
নয়াদিল্লি: জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করবে না কংগ্রেস (Rahul Gandhi on China Intrusion)। দলীয় সাংসদদের বৈঠকে এই কথা বললেন রাহুল গান্ধি। শনিবার চিন আগ্রাসন প্রসঙ্গে ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আক্রমণের ধার বাড়ান এই কংগ্রেস সাংসদ। লাদাখে চিনা আগ্রাসন নিয়ে এখনও প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা বলছেন। দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছেন। ঠিক এ ভাষাতেই সরব হয়েছেন সনিয়া-তনয় (Rahul Gandhi attacks PM)। তবে কেবল চিন নয়, করোনা সঙ্কটের ব্যর্থতা প্রসঙ্গ এদিন তুলে ধরেন রাহুল গান্ধি। দেশে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে এখন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পাশে থাকা উচিত কেন্দ্রের। সেই কাজ না করে বরং পিছিয়ে এসেছে সরকার। এমন অভিযোগ তোলেন তিনি। তিনি বলেন, "নিয়মিত মিথ্যা বলছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলছেন এটা রাজনৈতিক বিষয় নয়। কিন্তু কংগ্রেস জাতীয় নিরাপত্তাকে দুর্বল হতে দাতে পারে না। এমন কিছু করতে পারে না যাতে আমাদের সীমান্ত উন্মুক্ত হয়।"
ইতিমধ্যে একাধিক ইস্যুতে টুইটে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধি। সেই আক্রমণ সরকারের গাত্রদাহের কারণ। সেটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পাল্টা মন্তব্য থেকে স্পষ্ট। এমনটাই দাবি কংগ্রেস শিবিরের। তাই ফের রাহুল গান্ধিকে দলের সেনাপতি করতে তৎপর হয়েছে কংগ্রেসের প্রবীণ ও নবীন বাহিনী।
চিন প্রসঙ্গে সরাসরি আক্রমণ করে নেতৃত্ববোধের পরিচয় দিচ্ছেন রাহুল গান্ধি। সম্প্রতি টুইট করেন শশী থারুর। পাশাপাশি একে অ্যান্টনি, কে সুরেশ কিংবা অসমের গৌরব গগৈর মত আবার সভাপতি ফিরে আসুক রাহুল গান্ধি।
এদিকে, ইন্দো-চিন সীমান্তের বিতর্কিত ফিঙ্গার-৪ এলাকায় ক্রমশ হালকা হচ্ছে চিন সেনার উপস্থিতি। এনডিটিভি'র হাতে আসা ১০ জুলাইয়ের উপগ্রহ চিত্রে তেমন ছবি এসেছে। তবে, চিনা নির্মাণ, তাঁবু ও শেড এখনও ওই এলাকায় রয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ পুরোপুরি চিন সেনা ২ কিমি পিছনে সরেছে, এটা দাবি করা যাবে না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই খবর। চিনা হোভারক্রাফ্ট প্যাংগং লেক সংলগ্ন এলাকায় পড়ে রয়েছে। এমনকী, দশটি বড় মাপের নৌকাও ফিঙ্গার-৪ এলাকার পূর্ব প্রান্তে ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। তবে, সমঝোতা হয়েছে এলএসি বরাবর দু'কিমি পিছু হটবে দুই দেশের বাহিনী। ইন্দো-চিন সীমান্তের কয়েকটি বিতর্কিত জায়গায় সেই সমঝোতা সম্পন্ন করেছে দুই দেশের সামরিক বাহিনী। সামরিক ভাষায় যাকে ডিজএনগেেজমেন্ট বলে।
জানা গিয়েছে, হটস্প্রিং ও গোগরা এলাকা থেকেও পিছু হটবে ইন্দো-চিন বাহিনী। প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার ৪ এলাকায় লাল ফৌজের গতিবিধি পরিলক্ষিত হয়েছিল। তাঁবু থেকে সামরিক সজ্জা সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে সে দেশের বাহিন।