হাইলাইটস
- গুজরাট থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করল কংগ্রেস
- ডান্ডি অভিযানকে স্মরণ করে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা গুজরাটে হয়
- শেষ বার ১৯৬১ সালে গুজরাটে বৈঠকে বসে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটি
গুজরাট: গুজরাটে গিয়ে প্রচার শুরু করল কংগ্রেস(Congress)। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)গড়ে গিয়েই তাঁকে আক্রমণ করল তারা। আনল বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ। মহত্মা গান্ধীর ডান্ডি অভিযানকে স্মরণ করে রাখতে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা গুজরাটে হয়। সেই খান থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করল কংগ্রেস। পাল্টা দিয়েছেন মোদী। ব্লগ লিখে মহাত্মা গান্ধীকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গান্ধীজির ইতিহাস প্রসিদ্ধ ডান্ডি অভিযানকে স্মরণ করে মঙ্গলবার ব্লগ লেখেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে তিনি লেখেন গান্ধীজির দেখানো পথের উল্টো দিকে চলাই কংগ্রেসের কাজ। লেখার একেবারে শুরুর দিকে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের কথা উল্লেখ করে মোদী বলেন, ডান্ডি অভিযান কীভাবে হবে তার শুরু থেকে শেষ জানতেন বল্লভভাই। কংগ্রেসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা ছিলেন দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অথচ তাঁকে নিয়ে কথা বললে বিজেপির সমালোচনা করে কংগ্রেস।
আরও পড়ুনঃ ৩৬ আসনে কে কটায় লড়বে, তা নিয়ে কংগ্রেস- সিপিএমের মধ্যে আলোচনা শুরু
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও ইউপিএ চেয়ার পার্সন সোনিয়া গান্ধী। এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে কংগ্রেস নেতারা বাসে করে গান্ধীজির সবরমতি আশ্রম দর্শন করতে যান। শুধু মোদীর রাজ্য বলে নয় এই বৈঠকের অন্য তাৎপর্য ছিল। ১৯৬১ সালের পর ৫৮ বছর বাদে গুজরাটে বৈঠকে বসল কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটি।
আরও কয়েকটি বিষয় তুলে ধরে মোদী বলেন, একাধিক লেখায় মহত্মা বলেছেন, তিনি বৈষম্যের বিপক্ষে, সাম্যের পক্ষে। কিন্তু কংগ্রেস সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করতে দ্বিধা করেনি। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ জাতি দাঙ্গা বা দলিতদের উপর সর্বাধিক আক্রমণ নেমে এসেছে কংগ্রেসের রাজত্বে।