Read in English
This Article is From Jan 27, 2020

সংবিধানে আগ্রহ নেই প্রধানমন্ত্রীর, টুইটারে কটাক্ষ কংগ্রেসের

রবিবার প্রজাতন্ত্র দিবসে কংগ্রেস ওই প্যাকেজ পাঠিয়ে টুইট করে জানিয়ে দেয়, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সংবিধান আপনার কাছে শীঘ্রই পৌঁছবে।’’

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

উপহার ফেরত চলে আসার কথা জানিয়ে কংগ্রেস জানিয়েছে, ‘‘অব করে তো করে ক্যায়া?’’

নয়াদিল্লি:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) একটি বিশেষ উপহার দিতে চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু তা ফেরত পাঠানো হয়েছে। কংগ্রেস টুইট করে সংবিধানের একটি কপি (A Copy Of The Constitution) আমাজন মারফত প্রধানমন্ত্রীকে পাঠা‌নোর কথা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে আমাজনের একটি স্ক্রিনশটও। তাতে দেখা গিয়েছে ওই কপি ফেরত যাচ্ছে বিক্রেতার কাছে। টুইটে কংগ্রেসের তরফে লেখা হয়, ‘‘প্রিয় ভারতীয় নাগরিক, আমরা চেষ্টা করেছি। কিন্তু মোদিজি সংবিধান নিয়ে আগ্রহী নন।'' রবিবার প্রজাতন্ত্র দিবসে কংগ্রেস ওই প্যাকেজ পাঠিয়ে টুইট করে জানিয়ে দেয়, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সংবিধান আপনার কাছে শীঘ্রই পৌঁছবে। দেশকে বিভক্ত করার কাজে ফুরসত পেলে দয়া করে পড়ে নিন।''

"Shaheen Bagh-এর আসল রূপ": প্রতিবাদী এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দুষলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

কংগ্রেসের টুইটের সঙ্গে ১৭০ টাকার রসিদ দেখা যায়। তাতে লেখা ‘পে অন ডেলিভারি'। কিন্তু এদিন অন্য একটি টুইট করে কংগ্রেস জানিয়ে দেয়, সেই বই ফেরত চলে গিয়েছে আমাজনের কাছে। আমাজনের তরফে জানানো হয়েছে যে ঠিকানায় বইটি পাঠানো হয়েছিল তারা সেটি গ্রহণ করতে চায়নি অথবা অর্ডারটি বাতিল করা হয়েছে।

যে ঠিকা‌নায় উপহারটি পাঠানো হয়েছিল সেটি হল— নরেন্দ্র মোদি, ই ব্লক, সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট, নয়াদিল্লি ১১০০১১।

Advertisement

শাহিনবাগ নিয়ে অমিত শাহর মন্তব্যের সমালোচনা পি চিদাম্বরমের

উপহার ফেরত চলে আসার কথা জানিয়ে কংগ্রেস জানিয়েছে, ‘‘অব করে তো করে ক্যায়া?''

কংগ্রেসের এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য সিএএ নিয়ে বিজেপি বেঁধা। দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে এই বিতর্কিত আইন নিয়ে। দাবি উঠেছে এই আইনে বৈষম্য রয়েছে।

Advertisement

এর পাশাপাশি কংগ্রেস আরও একটি ভিডিও টুইট করেছে। তাতে সভাপতি সনিয়া গান্ধির সঙ্গে রাহুল গান্ধি, প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে দেখা যায় রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধির স্মৃতিফলকের সামনে বসে প্রস্তাবনা পাঠ করতে।

এই আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, ফার্সি, জৈন ও বৌদ্ধ শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, এই সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হবে না। তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সমালোচকদের মতে, এই আইন মুসলিমদের জন্য বৈষম্যমূলক। এবং এটি সংবিধানের বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী। 

Advertisement