This Article is From May 15, 2018

শশী থারুরের বিরূদ্ধে উঠল স্ত্রী সুনন্দা পুসকরের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ

2014 সালে দিল্লির এক ফাইভ-স্টার হোটেলে সুনন্দার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

সুনন্দা পুসকরের মৃত্যু: সন্দেহভাজন হিসাবে উঠে এল শশী থারুরের নাম

নিউ দিল্লি: কংগ্রেস নেতা শশী থারুরকে তাঁর স্ত্রী সুনন্দা পুসকরের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত করা হল। 2014 সালে দিল্লির এক ফাইভ-স্টার হোটেলে সুনন্দার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। দিল্লি কোর্টে পেশ করা চার্জশিটে কেরালার সাংসদ থারুরকে স্ত্রীয়ের সঙ্গে নৃশংস আচরণের দায়েও অভিযুক্ত করা হয়।
থারুর অবশ্য টুইট করে এই অভিযোগকে “ভ্রান্ত” বলে উষ্মাপ্রকাশ করেন। তাঁর দল কংগ্রেস তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি একেবারেই “রাজনৈতিক-উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চার্জশিট”। 3000 পৃষ্ঠার বিশাল চার্জশিটে একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে নাম আছে কেবল শশী থারুরের।
2014 সালের 17 জানুয়ারি 51 বছরের সুনন্দা পুসকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় হোটেলের স্যুইট থেকে। মৃত্যুর ঠিক কয়েকদিন আগেই তিনি পাকিস্তানের এক মহিলা সাংবাদিকের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে প্রকাশ্যে স্বামীর দিকে আঙুল তুলেছিলেন। মৃত্যুর ঠিক আগেরদিন এক বিখ্যাত সাংবাদিককে ফোন করে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর অনেক কিছু ফাঁস করার আছে।
পুলিশ প্রথমে দাবি করেছিল, সুনন্দার মৃত্যু হয় বিষক্রিয়ায়।  2015’র জানুয়ারি মাসে সন্দেহভাজনের তালিকায় কারও নাম না রেখেই একটি খুনের মামলা দায়ের করে পুলিশ। এইমস হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছিল, সুনন্দার মৃত্যু “অস্বাভাবিক”।
পুলিশ বলছে, তাদের কাছে খুনের কোনও প্রমাণ না থাকলেও, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার যথেষ্ট প্রমাণ আছে তাদের কাছে। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, এই দম্পতির মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত। সুনন্দা পুসকর ডাক্তারের প্রেসকিপশন ছাড়াই নিয়মিত মুঠো মুঠো ডিপ্রেশনের ট্যাবলেট খেতেন।
2010 সালে বিয়ে হয় শশী আর সুনন্দার। হাই-প্রোফাইল এই দম্পতি সবসময়েই ছিল মিডিয়ার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী 62 বছরের শশী থারুরকে পুলিশ একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মৃত্যুর দিনকয়েক আগে কেরালা থেকে দিল্লিগামী বিমানে আসার পথে এই দম্পতির নামে প্রচণ্ড ঝগড়া করার অভিযোগ উঠেছিল।
 

.