This Article is From Jul 05, 2019

“নতুন বোতলে পুরনো মদ”: বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া অধীর চৌধুরীর

“নয়া ভারত” গড়ার লক্ষ্যে মোদি 2.0 বাজেটের সমালোচনায় কংগ্রেস

“নতুন বোতলে পুরনো মদ”: বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া অধীর চৌধুরীর

"নতুন বোতলে পুরনো মদ",বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বললেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী

নয়া দিল্লি:

“নয়া ভারত” গড়ার লক্ষ্যে সংসদে মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের  বাজেট(Union Budget ) পেশের পরেই “নতুন বোতলে পুরনো মদ” বলে সেই বাজেটের তীব্র সমালোচনা করল বিরোধী দল কংগ্রেস(Congress)।এই বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পেট্রোল ও ডিজেলের শুল্ক বৃদ্ধি করেছেন, সোনার আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছেন,উচ্চবিত্তদের আয়ের উপর অতিরিক্ত সারচার্জ বসানো সহ একগুচ্ছ ঘোষণা করেছেন।   

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রধান ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah) বলেন, "নতুন ভারত" গড়ার লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী এই বাজেট পেশ করেছেন যেটি একটি প্রগতিশীল জাতির ক্ষেত্রে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে এবং যার উত্থান হয়েছে দেশের ১৩০ কোটি দেশবাসীর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে।“এই বাজেট দেশের কৃষক, যুব সম্প্রদায়, মহিলা ও দরিদ্রদের স্বপ্ন পূরণের দিশা দেখায়”, ট্যুইটে বলেন তিনি।

গত পাঁচ বছরে দেশের অর্থনীতি, হাউজিং, পরিকাঠামো ও সামাজিক ক্ষেত্র সম্পর্কিত বিভিন্ন খাতে দৃষ্টান্তস্থাপনকারী কাজগুলির কথা এই বাজেটে তুলে ধরা হয়েছে এবং এর ভিত্তিতেই আমরা আশাবাদী যে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ভারত ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠতে পারবে, বলেন অমিত শাহ।

বাজেট ২০১৯: পেট্রোল,ডিজেলের দাম ২ টাকা বাড়তে চলেছে

"কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা পেশ করা বাজেটটি যেন একটি ভবিষ্যৎবাণী। এটি এমন একটি রোডম্যাপ তৈরি করে যার সাহায্যে আমাদের নাগরিকদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তির বৃদ্ধি ঘটবে। পরিচ্ছন্ন শক্তি এবং নগদহীন লেনদেনের উপর জোর দেওয়াও সঠিক দিশা দেখাবে" ট্যুইট তাঁর।

এদিকে কেন্দ্রীয় বাজেটের সমালোচনা করে লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন(Budget reaction) এসব শুধুমাত্র “পুরনো প্রতিশ্রুতি”-র পুনরাবৃত্তি।“তাঁরা(বিজেপি)নতুন ভারতের কথা বলছে, কিন্তু এটা শুধুমাত্র নতুন বোতলে পুরনো মদ”,সংসদের বাইরে প্রতিক্রিয়ায় ওই কথা বলেন তিনি।অধীর বলেন এই বাজেটে কোনো নতুন দিশা দেখানো হয় নি।

Budget 2019: জেনে নিন কার কার দাম বাড়ল, কমল কোনগুলির

তিনি বলেন, মোদি সরকার ভারতকে "এল ডোরাডো" (সকলের জন্য সমৃদ্ধ সম্পদ একটি জায়গা) হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে, কিন্তু বাস্তবে অর্থনীতির ব্যথা অনুভব করতে হচ্ছে। চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury ) বলেন, "কর্মসংস্থান সৃষ্টির কোন পরিকল্পনা নেই, কৃষিক্ষেত্র থেকে শ্রমক্ষেত্রে কোন সুবিধা দেওয়ার জন্য কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই।এগুলি পুরনো প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই নয়"।

কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সূরযেওয়ালাও কেন্দ্রীয় বাজেটের তীব্র সমালোচনা(Budget reaction)  করেন। "একটি সম্পূর্ণরূপে অভাবনীয়, অনিশ্চিত এবং দিশাহীন বাজেট । অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে শূন্য, গ্রামীণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শূন্য,চাকরির ক্ষেত্রে শূন্য, শহুরে পুনরুত্থানের ক্ষেত্রে শূন্য দিশা দেখাবে এই বাজেট" ট্যুইটে বলেন তিনি।

নির্মলা সীতারামনের পেশ করা কেন্দ্রীয় বাজেটের সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভিও।ভোট পাওয়ার জন্যে দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতি দুটোকেই কাজে লাগিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি।আর এখন তাঁর হৃদয় শুধু ডানপন্থী রাজনীতির সঙ্গেই রয়েছে, অর্থনীতির সঙ্গে নয়, মাইক্রো ব্লগিং সাইটে লেখেন ওই কংগ্রেস নেতা।

যদিও এই বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি ট্যুইট করেন,”এই বাজেট হল ‘নতুন ভারতের গেজেট', এই বাজেটটি ‘সুশাসন ও সমৃদ্ধি'-র অঙ্গীকার করে”।

পাশাপাশি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, "প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন। এই বাজেট ভারতের অভূতপূর্ব উন্নয়নে বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন এবং আমাদের যুবকদের স্ব-কর্মসংস্থানের দিকে অবদান রাখবে।"

.