தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Feb 14, 2020

‘‘আমাদের কেউ কেউ এখনও নিজেদের মন্ত্রী ভাবছেন’’: কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, দলের কোনও কোনও নেতা এখনও এমন ভাব করছেন যেন তাঁরা এখনও মন্ত্রী রয়েছেন।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Reported by , Edited by

জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বৃহস্পতিবার দিল্লি নির্বাচনকে ‘অত্যন্ত অসন্তোষজনক’ বলে ব্যাখ্যা করলেন।

Highlights

  • প্রকাশ্যে এল কংগ্রেসের ভিতরে বাড়তে থাকা অন্তর্দ্বন্দ্ব
  • জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ‘অত্যন্ত অসন্তোষজনক’ বললেন দিল্লি নির্বাচনকে
  • আর এক নেতা জয়রাম রমেশও দলের ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুললেন
নয়াদিল্লি:

আবারও প্রকাশ্যে এল কংগ্রেসের ভিতরে বাড়তে থাকা অন্তর্দ্বন্দ্ব। কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বৃহস্পতিবার দিল্লি নির্বাচনকে ‘অত্যন্ত অসন্তোষজনক' বলে ব্যাখ্যা করলেন। পাশাপাশি দলে নতুন পরিবর্তনের আহ্বান করলেন তিনি। আর এক নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, দলের উচিত প্রাসঙ্গিক থাকার জন্য নির্মম ভাবে নিজেদের পুনর্নবীকরণ করা। এবং তিনি আরও বলেন, দলের কোনও কোনও নেতা এখনও এমন ভাব করছেন যেন তাঁরা এখনও মন্ত্রী। প্রসঙ্গত, সিন্ধিয়া ও রমেশ, দু'জনেই ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। মঙ্গলবার দিল্লি নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া অভিনন্দন জানান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। বলেন, দিল্লির নাগরিকরা এবারও আস্থা রেখেছেন আম আদমি পার্টির উপরেই।

সিন্ধিয়া বলেন, ‘‘ফলাফল অত্যন্ত অসন্তোষজনক। কংগ্রেসের নতুন করে পরিবর্তন দরকার। কাজ করার নতুন রাস্তা... আমাদের অবশ্যই নতুন করে পরিবর্তন দরকার। সময় বদলেচে। দেশ বদলেছে। আমাদের মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। লোকসভা নির্বাচনের পরে আমরা কিছু রাজ্যে সরকার গঠন করতে পেরেছি।''   দিল্লি নির্বাচনে পরপর দু'বার শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে কংগ্রেসকে। বুধবার কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধি কংগ্রেস নেতা পিসি চাকো ও সুভাষ চোপড়ার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

বুধবার টুইটারে বিতর্কে জড়ান বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম ও তাঁর জুনিয়র সতীর্থ শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়।

পরে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরযেওয়ালা এই চাপান-উতোরের খেলার সমালোচনা করে বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতারা যদি নিজেদের ভূমিকা, নিজেদের দায়িত্ব ও নিজেদের দায়বদ্ধতার বিষয়টি নিরীক্ষণ করতেন এবং দিল্লিতে প্রচারে নিজেদের কর্তব্য পালন করতেন তাহলে ভাল হত।'' দিল্লি নির্বাচনে কংগ্রেসের ৬৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৩ জনের জমানত বাজেয়াপ্ত হয়। অর্থাৎ তাঁরা নিজেদের কেন্দ্রে এক ষষ্ঠাংশ ভোটও পাননি। 

Advertisement