Read in English
This Article is From Jan 08, 2019

সংরক্ষণ বিল নিয়ে নিজেদের অবস্থান বদল করল কংগ্রেসঃ ১০'টি তথ্য

সাধারণ নির্বাচনের আগে তফশিলী জাতি বা উপজাতি নয় এমন শ্রেণীর মানুষদের জন্য চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিল পাশ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া
এই মুহূর্তে যে সংরক্ষণ বিল নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল, তা নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি। সাধারণ নির্বাচনের আগে তফশিলী জাতি বা উপজাতি নয় এমন শ্রেণীর মানুষদের জন্য চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিল পাশ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। একাধিক বিরোধী দল এই বিলকে সমর্থন জানালেও, কেউ কেউ বলছে, এটা লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির একটি 'ধুরন্ধর রাজনৈতিক চাল'

এখানে রইল ১০ 'টি তথ্য

  1.  প্রাথমিকভাবে কংগ্রেস জানিয়েছিল, তারা এই বিলটিকে সমর্থন করবে। পরে তারা মত পালটে জানায় যে, তারা চায় একটি সংসদীয় কমিটি আগে বিলটির ব্যাপারে ছানবিন করুক। 
     

  2.  সভাকক্ষের উদ্দেশে অরুণ জেটলি বলেন, জাতপাতের ভিত্তিতে যে সংরক্ষণ তা সংবিধান অনুযায়ী ৫০ শতাংশই থাকবে।
     

  3.  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজয় গোয়েল এনডিটিভিকে বলেন, "আজ যদি লোকসভায় বিলটি পাশ হয়ে যায়, তবে আগামীকাল বিলটিকে নিয়ে আমরা রাজ্যসভায় যাব। আমরা এই অধিবেশনের ১০ শতাংশ কোটা'র বিলটি পাশ করার চেষ্টা করছি"। 
     

  4. এই নতুন বিলটি ব্রাহ্মণ, রাজপুত, জাঠ, মরাঠাদের মতো বহু জাতের মানুষের কাছে অনেকটা সুবিধা নিয়ে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।  
     

  5.  উত্তরপ্রদেশের দুই নেতা মায়াবতী ও অখিলেশ যাদব জানিয়ে দিয়েছেন, বিলটিকে সমর্থন জানাবেন তাঁরা। 
     

  6. Advertisement
  7.  অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি এই বিলটিকে সমর্থন জানালেও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জাতি ও উপজাতিদের সংরক্ষণ নিয়েও একইভাবে সরব হবে তারা।  
     

  8.  তুলনায় সতর্ক তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, "আমি খুব খুশি হবো, যদি দেখি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষ এই বিলের সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, নির্বাচনের নামে কি এভাবে দেশের বেকার যুবকদের সঙ্গে প্রতারণা করার কোনও অধিকার আছে কেন্দ্রীয় সরকারের"?
     

  9. বিহারে অবশ্য উত্তরপ্রদেশের থেকে খানিকটা বিপরীত চিত্র রয়েছে। লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি জানিয়ে দিয়েছে, এই বিলকে সমর্থন জানাচ্ছে না তারা।
     

  10. সংবিধান সংশোধন বিলটি লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ করানোর আগে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া বাধ্যতামূলক। 
     

  11. সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে সংরক্ষণের পরিমাণ দাঁড়াল ৬০ শতাংশ। তার বেশি হলে তার বিচার করবে দেশের আইন।  

Advertisement