Read in English
This Article is From Nov 07, 2018

নোটবন্দির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে দেশের কাছে ক্ষমা চান মোদীঃ কংগ্রেস

নোটবন্দির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মনে করে  কংগ্রেস।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া (with inputs from PTI)

কেন্দ্র মনে  করে এই  পদক্ষেপের ফলে ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে

Highlights

  • কংগ্রেসের দাবি তুঘলকি সিদ্ধান্তের জন্য অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে
  • বৃহস্পতিবার সারা দেশ জুড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করবেন কংগ্রেস কর্মীরা
  • রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মেনে নেয় বাতিল হওয়া টাকার 99.3% শতাংশই ফিরে এসেছে
নিউ দিল্লি :

নোটবন্দির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মনে করে  কংগ্রেস। তাদের দাবি ওই তুঘলকি সিদ্ধান্তের জন্য অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, অকথ্য যন্ত্রণা সহ্য করেছেন দেশের মানুষ। দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসের মুখপাত্র মণিশ তিওয়ারি এ কথা জানিয়ে বলেন, নোটবন্দির বিরোধিতা  করে  বৃহস্পতিবার সারা দেশ জুড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করবেন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি থেকে শুরু করে দলের প্রথম সারির নেতারা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।

এরপরই মোদী সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে  তুঘলকি বলে কটাক্ষ করেন কংগ্রেসের এই প্রাক্তন  সাংসদ।  2016 সালে 8 নভেম্বর রাত 8:15 মিনিটে দেশকে প্রধানমন্ত্রী জানান পুরনো 500 আর 2000 টাকার নোট বাতিল হয়ে গেল। তাঁর দাবি ছিল কালো টাকার বাড়বাড়ন্ত রুখতেই  এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। পাশাপাশি সাহায্য এর  সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাও সহজ হবে বলে দাবি করেন মোদী।

কংগ্রেস মুখপাত্রর দাবি যে সমস্ত উদ্দেশের কথা  বলে নোটবন্দি হয়েছিল সেগুলি পূরণ হয়নি। দু'বছর আগে  যে পরিমাণ নগদ বাজারে  ছিল এখন তার চেয়ে বেশি আছে। তিনি বলেন, আমরা  চাই প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের কাছে উপস্থিত হয়ে তুঘলকি সিদ্ধান্তের জন্য  ক্ষমা প্রার্থনা করুন।  

Advertisement

বাজার বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি নোটবন্দির ফলে  সে সময় বাজার থেকে  নগদ উধাও হয়ে যায়। ব্যাঙ্কে থাকা টাকা তুলতে নাজেহাল হয়ে পড়েন মানুষ। আর তারই ফল শ্রুতিতে  এটিএমের সামনে  লম্বা লাইনও চোখে পড়ে। প্রভাব পড়ে শেয়ার বাজারে।

বিরোধীদের দাবি ছিল এই সিদ্ধান্তের জেরে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এ বছরের শুরুর দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মেনে নেয় বাতিল  হওয়া টাকার 99.3%  শতাংশই  ফিরে এসেছে।  অন্যদিকে,  এক আরটিআই কর্মী দাবি নোট বাতিল প্রক্রিয়ায় কত খরচ হয়েছে  তা জানায়নি শীর্ষ ব্যাঙ্ক। তবে কেন্দ্র মনে  করে এই  পদক্ষেপের ফলে ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।

Advertisement
Advertisement