প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের পদত্যাগপত্র খারিজ করে দিল দল। প্রদেশ কংগ্রেসের তরপে জারি করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “সোমেন মিত্রের পদত্যাগের খবর পাওয়ার পরেই, গতকালই দিল্লিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে ডেকে পাঠান প্রদেশ কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ গৌরব গগৈ। এআইসিসির তরফে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি। নতুন উদ্যোমে তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে”। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তীর সাক্ষর করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “কংগ্রেস সভাপতি নিয়ে খুব দ্রুত স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। তারপরেই রাজ্য কমিটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দল”।
পদত্যাগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর, দলের খারাপ ফলের নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগের ইচ্ছেপ্রকাশ করেন সোমেন মিত্র। তবে দলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের অনুরোধে পদে থেকে যান তিনি। যাইহোক, লোকসভা নির্বাচনের দলের বিপর্যয়ের দায় নিয়ে রাহুল গান্ধি কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে আবারও নিজের ইস্তফাপত্র দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র।
“কাটমানি” ইস্যুতে আইন নিজের হাতে না নেওয়ার আবেদন পঞ্চায়েতমন্ত্রীর
চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, “সুতরাং সোমেন মিত্রের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার কোনও প্রশ্নই নেই। ১৯ জুলাই জেলা সভাপতিদের বৈঠক ডাকা হয়েছে, সেখানে থাকবেন এআইসিসি সদস্যরাও, সেখানেই রাজ্যবাসীর কাছে পৌঁছানোর রোডম্যাপ তৈরি করতে বলা হয়েছে তাঁকে”।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২ আসনের মধ্যে ২টিতে জিতেছে কংগ্রেস। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে চারটি আসন পেয়েছিল তারা। গত কয়েকদিন ধরেই, লোকসভা নির্বাচনে দলের খারাপ ফলের দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন দলের নেতারা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)