রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাতিল আজ কংগ্রেস ছেড়ে দিলেন। বিজেপির পক্ষ থেকে রাধাকৃষ্ণকে একটি মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে কথা দেওয়া হয়েছে।
হাইলাইটস
- রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাতিল কংগ্রেস ছাড়লেন
- শোনা যাচ্ছে তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন।
- বিজেপি রাধাকৃষ্ণকে একটি মন্ত্রকের দায়িত্ব দিতে পারে।
মুম্বই: মহারাষ্ট্রের বর্ষীয়ান কংগ্রেস (Congress) নেতা রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাতিল (Radhakrishna Vikhe Patil) আজ কংগ্রেস ছেড়ে দিলেন। শোনা যাচ্ছে তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। এমনও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, লোকসভায় কংগ্রেসের ভরাডুবির পরে রাজ্যের প্রায় ১০ জন বিধায়ক রাধাকৃষ্ণকে অনুসরণ করতে পারেন। যদিও কংগ্রেসের তরফে সেই সম্ভাবনাকে নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। সত্যিই যদি কংগ্রেস ছেড়ে অতজন নেতা বিজেপিতে যান, তাহলে নিঃসন্দেহে নভেম্বরে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস আরও সমস্যায় পড়বে। সূত্র জানাচ্ছে, বিজেপির পক্ষ থেকে রাধাকৃষ্ণকে একটি মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে কথা দেওয়া হয়েছে। রাধাকৃষ্ণর ছেলে সুজয় ভিখে পাতিল আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি আহমেদনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে জয়লাভও করেছেন।
ইফতার নিয়ে ব্যঙ্গোক্তি বিজেপির গিরিরাজ সিংহের, বিঁধলেন নিজের দলের সদস্যকেও
ছেলের লোকসভায় টিকিট পাওয়া নিয়েই রাধাকৃষ্ণের সঙ্গে কংগ্রেসের মতান্তর হয়। ভোটের মাঝখানেই তিনি মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধী নেতার পদত্যাগ করেন। আহমেদনগর থেকে ছেলের জন্য টিকিট চেয়েছিলেন। কিন্তু জোট সরকার থাকার জন্য শরদ পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টিকে টিকিট দেওয়া হয়।
শরদ পাওয়ারের সঙ্গে রাধাকৃষ্ণের ঝামেলা আজকের নয়। তাঁর ছেলে আহমেদনগর থেকে টিকিট পেলে তাঁকে ছেলের হয়ে প্রচার করতে দেখা যায়। তখনই পরিষ্কার হয়ে যায়, তিনিও ছেলেরই মতো কংগ্রেস ছাড়ার পথে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘‘আমি এমনকী লোকসভা নির্বাচনের সময়ও দলের হয়ে প্রচার করিনি। আমি শীর্ষ নেতৃত্বকে সন্দেহ করি না। তাঁরা আমাকে বিরোধী নেতা হিসেবে নির্বাচিত করে একটা সুযোগ দিয়েছেন। আমি ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে আমাকে পদত্যাগ করতে হচ্ছে।''
বলার আগে ভাবুন, কী বলতে চাইছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে পরামর্শ অপর্ণা সেনের
কংগ্রেস জানিয়েছে, তারা আর কোনও নেতার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আশঙ্কা করছে না।
মহারাষ্ট্রের রাজ্য কংগ্রেস কমিটির সভাপতি অশোক চৌহান NDTV-কে বলেন, তাঁদের দলে এমন অসন্তুষ্ট বিধায়ক আছেন, যাঁরা রাধাকৃষ্ণের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে তাঁদের কেউই দল ছাড়বেন না।
‘‘আমি কয়েকজন বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেছি, যাঁরা অসন্তুষ্ট। তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা কংগ্রেস ছাড়ছেন না।'' অশোক বলেন NDTV-কে।
দলের বহিষ্কৃত মেতা আবদুল সাত্তার অবশ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আট থেকে দশ জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছেন।
তিনি এএনআই-কে বলেছেন, ‘‘রাজ্যে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বনিবনা না হওয়া এবং তাদের কার্যকলাপের কারণেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত। রাজ্য নেতৃত্ব দলটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।''
লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়লাভ করে কংগ্রেস। সেখানে বিজেপি-শিবসেনা জোট পায় ৪১টি আসন।