Maharashtra: পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা হাতানোর চেষ্টা করেছে শিবসেনা, বলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ
নয়া দিল্লি: মহারাষ্ট্রে পিছনের দরজা দিয়ে সরকার গঠনের চেষ্টা করছিল শিবসেনা-কংগ্রেস-শরদ পাওয়ারের জোট, বিজেপি (BJP) সেই দরজা বন্ধ করে দিয়েছে, বললেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)। শনিবার সকালে সে রাজ্যের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং উপ মুখ্যন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন অজিত পাওয়ার। এই আচমকা ভোলবদলে চমকে যান সবাই। প্রবীণ রাজনীতিবিদ তথা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, যিনি শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটকে নিয়ে সরকার গড়ার চেষ্টা করছিলেন --- এবং অস্থায়ীভাবে ওই জোটের নাম "মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাদি (মহারাষ্ট্র বিকাশ ফ্রন্ট)" নাম রেখেছিলেন তিনিও হতচকিত হয়ে যান। শরদ পাওয়ার বলেন যে তাঁর ভাইপো যে বিজেপির ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে রয়েছে সে বিষয়ে তিনি আগাম কোনও কিছু জানতেন না।
মানুষের জনাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বিজেপি, এমন প্রতিক্রিয়া দেয় শিবসেনা।
রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন যে শিবসেনা অভিযোগ করার মতো কোনও জায়গাতেই নেই। যেহেতু শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট এখনও পর্যন্ত সরকার গঠনের দাবি জানায়নি, সেখানে বিজেপি এই পদক্ষেপ নিতেই পারে। কেননা বিজেপি ২০১৪ সালের চেয়ে আরও ভাল ফল করে সে রাজ্যে একক বৃহত্তম দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
"শিবসেনার নেতৃত্বেই মহারাষ্ট্রে সরকার চায় এনসিপি": শরদ পাওয়ার
"মহারাষ্ট্রের মানুষেরা প্রশ্ন করতে শুরু করেছিল যে, জনাদেশ যদি বিজেপির পক্ষে সুস্পষ্টভাবেই থাকে তবে এই খিচুড়ি জোটকে কেন রুখছেন না তাঁরা... কেন জনাদেশকে সম্মান করে বিজেপি সে রাজ্যে সরকার গঠন করবে না সে নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে", বলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ।
"সত্যিকারের সুবিধাবাদীরাই নিজেদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য একটি অস্বচ্ছ জোট গঠন করছিল", বলেন প্রবীণ ওই বিজেপি নেতা। "কংগ্রেস এবং এনসিপি নিজেই বলেছিল যে বিরোধী দল হওয়ার পক্ষেই জনাদেশ এসেছে তাদের কাছে। সুতরাং সেই তাঁরাই কীভাবে ক্ষমতা দখলের জন্য হঠাৎ এরকম ভাবে ম্যাচ ফিক্সিং করতে পারে?", কটাক্ষ প্রশ্ন তাঁর।
মহারাষ্ট্র নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস: সূত্র
এদিকে শরদ পাওয়ার দাবি করেছেন যে বিজেপি আস্থা ভোটে হারাবে। তিনি বলেন, অজিত পাওয়ারের কাছে ১০ থেকে ১১ জন বিধায়কের বেশি সমর্থন নেই। সেইসঙ্গে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোটের পক্ষে এনসিপি বিধায়কদের সমর্থনের চিঠিটি রাজ্যপালের কাছে জমা দেন তিনি।
জানা গেছে যে ৩০ শে নভেম্বরের মধ্যে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকারকে তাঁর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে।
রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, "আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার জায়গা হ'ল মহারাষ্ট্র বিধানসভা, এবং সময়মতোই আমরা তা প্রমাণ করব"।