हिंदी में पढ़ें
This Article is From Feb 14, 2019

সংরক্ষণ নিয়ে বিস্তারিতঃ ১০ শতাংশের আওতায় হিন্দুর সঙ্গেই রয়েছেন মুসলমান ও খ্রিস্টান

মোদী সরকারের সামনে এই মুহূর্তে সংরক্ষণ নিয়ে হাজার একটা দাবি রয়েছে। অমিত শাহ স্বয়ং একাধিকবার বলেছিলেন যে, পঞ্চাশ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ কিছুতেই সম্ভব নয়।

Advertisement
Featured Posts

সংবাদমাধ্যমে যে কথাটি বারবার ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে, সেটি দিয়েই শুরু করা যাক না হয়। সংরক্ষণটা কিন্তু মোটেই কেবল দরিদ্র সাবর্ণদের জন্য নয়। এই সুবিধাটা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল গোষ্ঠী কে দেওয়া হবে। যেখানে হিন্দু সাবর্ণ'র মতোই রয়েছে মুসলমান বা খ্রিস্টানও। এই কথাটি বলেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজয় সামপলাও। এই সংরক্ষণের আওতা থেকে তফশিলী জাতি ও উপজাতির মানুষদের পৃথক রাখা হয়েছে।  তাই, এখন যদি কেউ লেখেন যে, এত শতাংশ দরিদ্র সাবর্ণকে এই সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তাহলে তিনি সম্পূর্ণ ভুল করবেন। মুসলমান এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের উল্লেখও এক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে করা উচিত। সংশ্লিষ্ট বিষয় সংক্রান্ত  সংবিধানের সংশোধিত অংশটি একবার পড়ে নিলেই দিব্যি টের পাওয়া যাবে এই ব্যাপারটি। ওখানেই তো লেখা আছে। এর আগে 'জেনারেল'-এর আওতায় যাঁরা পড়তেন, তাঁদের মধ্যে মুসলমান এবং খ্রিস্টানরাও ছিলেন। কিন্তু ওই সময় 'জেনারেল' তকমাধারী কেউই সংরক্ষণের আওতায় পড়তেন না। এবার থেকে পড়বেন। মুসলমান এবং খ্রিস্টানদের সংরক্ষণ দেওয়া নিয়ে বহুদিন ধরেই বিরোধিতা করে গিয়েছে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার। ঠিক এই সময়ে দাঁড়িয়ে তাই এই কথাটির বিশেষভাবে উল্লেখ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। 

Blog: ৮৭,৫০০'টি বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে যে মানুষটির কাছে, বই-চিত্রের মধ্যেই যেখানে ঐক্য

মোদী সরকারের সামনে এই মুহূর্তে সংরক্ষণ নিয়ে হাজার একটা দাবি রয়েছে। অমিত শাহ স্বয়ং একাধিকবার বলেছিলেন যে, পঞ্চাশ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ কিছুতেই সম্ভব নয়। মজার ব্যাপার, এখন সেই অমিত শাহই বারবার বলে চলেছেন যে, পঞ্চাশ শতাংশের বেশি সংরক্ষণই হবে। হরিয়ানার জাঠরা এবার বলবেন, আপনি যদি পঞ্চাশ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ দিতে প্রস্তুত থাকেন, তাহলে আমাদের কেন দেবেন না? গুজরাটের পাটিদার গোষ্ঠীর গলায়ও থাকবে এই একই দাবির প্রতিধ্বনি।  

Advertisement

Blog: চাকরি নিয়ে ছেলেখেলাটা এবার বন্ধ হোক, পরিষ্কার কথা বলুন অমিত শাহ ও কমলনাথ

আট লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাৎসরিক আয় এমন কোনও মানুষ যদি তফশিলী উপজাতি গোষ্ঠীভুক্ত হন, তবে তিনি সংরআক্ষণের সুবিধা পাবেন না। 'জেনারেল'দের ক্ষেত্রেও এই একই কথা সত্য। মুসলমানদের মধ্যে অনগ্রসর মুসলমানদের জন্য যেমন সংরক্ষণ রয়েছে। 

Advertisement

আবার, দলিত এবং আশরাফ মুসলমান কারও যদি পরিবারের বাৎসরিক আয় আট লক্ষ টাকার কম হয়, তবে তাঁরাও আসতে পারেন এই সংরক্ষণের আওতায়। এছাড়া, সরকারি ও সরকারি মদতপুষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতেও তাঁরা সুবিধা পাবেন। যদি, আর্থিকভাবে অনগ্রসর হন, তবে। এই কথা সংবিধানেই লেখা আছে৷ তাই, এ কথাটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া ভালো যে,  এর জন্য  পরিবর্তনটা হচ্ছে না।

১০ শতাংশের আওতায় হিন্দুর সঙ্গেই রয়েছেন মুসলমান ও খ্রিস্টান

  .  

Advertisement

 

Advertisement