This Article is From Jul 10, 2020

কনটেইনমেন্ট জোন লকডাউন! শুনশান রাস্তা কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলায়

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে একদিনে হাজার জন সংক্রমিত। এই সংখ্যা ধরে মোট সংক্রমিত প্রায় ২৬ হাজার

কনটেইনমেন্ট জোন লকডাউন! শুনশান রাস্তা কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলায়

ফাইল ছবি।

কলকাতা:

কনটেইনমেন্ট জোনে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে শুনশান রাজ্যের রাজপথ। বৃহস্পতিবার থেকে আগামি একসপ্তাহ ২০টি জেলার কনটেইনমেন্ট জোনে লকডাউন বলবৎ করেছে নবান্ন। এই তালিকায় রাজ্যের পাঁচটি হটস্পট জোন কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং মালদহ আছে। একমাত্র জরুরি পরিষেবা বাদে বাকি সব সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে বিকেল পাঁচটা থেকে ভোর পাঁচটা। লকডাউন বিধি না মানলে পুলিশকে কড়া হতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। এই পরিস্থিতিতে কনটেইনমেন্ট জোন লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বেশ ফাঁকা রাস্তাঘাট। বিক্ষিপ্ত কিছু জায়গায় মাস্ক ছাড়া জমায়েত দেখা গিয়েছে। কিন্তু পুলিশি চোখ রাঙানির পর স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি।

লকডাউনে কনটেইনমেন্ট জোনে গতিবিধি নিষিদ্ধ করতে পুলিশি ব্যারিকেড ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই এলাকায় প্রবেশ-প্রস্থান নিষিদ্ধ করতেও সক্রিয় ছিল কলকাতা-সহ জেলা পুলিশ। চোখে পড়েছে পুলিশি টহলদারিও। কনটেইনমেন্ট জোনের কিছু জায়গায় সব্জি বাজার ও দোকানপাট চার ঘণ্টার জন্য খুলতে অনুমতি দিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন। তাই প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত করতে দোকান-বাজারে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় বেশি ভিড় ছিল এলপিজি কাউন্টার ও মুদির দোকানে।

রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, দুই ২৪ পরগনার ১৪৭টি, কলকাতায় ২৫টি আর হাওড়ায় ৫৬টি কনটেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "আপাতত সাতদিন এই এলাকায় কড়া লকডাউন চলবে প্রয়োজনে আরও বাড়াবো।" কনটেইনমেন্ট জোন আর বাফার জোনকে একত্রিত করে একটা বড় অংশ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই এলাকায় চলছে শাটডাউন। অপরদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে একদিনে হাজার জন সংক্রমিত। এই সংখ্যা ধরে মোট সংক্রমিত প্রায় ২৬ হাজার। একদিনে ২৭ জন মৃত ধরে মোট মৃত ৮৫৪ জন।

করোনা ভাইরাসের আক্রমণে কাবু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বয়সীদেরই, বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ভারতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকা খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে, দেশে এই রোগে আক্রান্ত হয় মারা যাওয়া মানুষের মধ্যে ৮৫ শতাংশের বয়সই ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে। আবার দেশে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁরা এখন মারা যাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ মৃত্যুর কারণই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ, বলছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। "তাই কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উচিত ৪৫ ঊর্ধ্ব মানুষদের করোনা থেকে অতিরিক্ত সতর্ক রাখা ও তাঁদের প্রতি আলাদা করে মনোযোগ দেওয়া", বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের স্পেশাল ডিউটি অফিসার রাজেশ ভূষণ। সাংবাদিকদের সামনে দেশের করোনা চিত্রটি তুলে ধরার সময় ওই স্বাস্থ্যকর্তা আরও জানান, এখন ভারতের মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ মানুষের বয়স ৬০ থেকে ৭৪ বছরের মধ্যে, ওই বয়সী ৩৯ শতাংশ মানুষেরই মৃত্যু হচ্ছে কোভিড- ১৯ এর কারণে। ৭৫ বছর বয়সী মানুষদের মধ্যে ১৪ শতাংশের মৃত্যু হচ্ছে করোনার আক্রমণে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের স্পেশাল ডিউটি অফিসার রাজেশ ভূষণ বলেন, "ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষ ১৪ বছরের কম বয়সী। ভারতের কোভিড -১৯ এর কারণে মৃত্যুর মাত্র ১ শতাংশ এই বয়সী"।

তিনি আরও বলেন, জনসংখ্যার প্রায় ১৮ শতাংশ হল ১৫-২৯ বছরের কম বয়সী মানুষজন, এই বয়সীদের মধ্যে করোনায় মৃত্যুর হার ৩ শতাংশ।

বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যার ২২% মানুষ ৩০-৪৪ বছর বয়সের মধ্যে, দেখা যাচ্ছে এই বয়সীদের মধ্যে ১১% মারা গেছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে।

.