মজার ছলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্তব্য করেছিলেন, স্বাগত, মজা করুন
নয়াদিল্লি: বাদামি জ্যাকেট, গলায় লাল মাফলার আর চোখে বিশেষ চশমা (special eyewear)।সূর্যগ্রহণ চলাকালীন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই ছবি সোশাল সাইটগুলোতে ঘুরছে। প্রধানমন্ত্রী খোদ এই ছবি নিজের টুইটারে ছেড়েছিলেন।এবার সেই ছবি নিয়ে শুরু হয়েছে মিম বানানো। তাঁর ছবির নিচেই এদিন এক টুইটার ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছিলেন, এই ছবি মিম হতে যাচ্ছে। পাল্টা মজার ছলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্তব্য করেছিলেন, স্বাগত, মজা করুন।এবার সেই মিম উৎসবে গা ভাসালো কংগ্রেসও। প্রধানমন্ত্রীর সেই ছবিই নিজেদের সরকারি টুইটার পেজে প্রকাশ করে কংগ্রেসের খোঁচা, 'যখন দেশ জ্বলছে, তখন সত্যি কী ঠাণ্ডা আমাদের প্রধানমন্ত্রী! উনি ঠাণ্ডা মাথায় ঘুরছেন।'
এদিন সকালেই রাহুল গান্ধি হ্যাশট্যাগ (#) ঝুট, ঝুট, ঝুট দিয়ে একটা টুইট করেছিলেন। দেশে কোনও ডিটেনশন সেন্টার নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির করা সেই মন্তব্যকে ঠুকে তাঁর এই টুইট ছিলো। এবার সেই টুইটের সঙ্গেই নিজেদের পেজে প্রধানমন্ত্রীর ছবি শেয়ার করে কংগ্রেস লিখেছে, সত্যি একজন ঠাণ্ডা প্রধানমন্ত্রী! দেশ যখন জ্বলছে, উনি ঠাণ্ডা মাথায় ঘুরছেন।
ইতিমধ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমে ২০ জনের বেশি নাগরিকের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অসম, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশ-সহ দেশের একাধিক জায়গায় চলেছে এই আন্দোলন। কয়েক লক্ষ-কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্টের খবর মিলেছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে, আন্দোলনকারীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণের অভিযোগ এনেছে বিরোধীরা।সূত্রের খবর, এই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পড়শি দেশ থেকে আসা অমুসলিমদের দ্রুত নাগরিকত্ব দেবে। জানা গেছে, সিএএ'র মাধ্যমে ভারতে এই প্রথম নাগরিকত্ব-পরীক্ষা হবে। সরকারি সূত্র বলেছে, ধর্মীয় কারণে মুসলিম অধ্যুষিত পড়শি রাষ্ট্রগুলি থেকে যে সংখ্যালঘুরা ভারতে এসেছেন, এই আইন তাঁদের সাহায্য করবে। কিন্তু সমালোচকদের দাবি, এটা আদতে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী।