Read in English
This Article is From Mar 23, 2020

Coronavirus: লকডাউনের ফলে ট্র্যাফিক জ্যাম, বাসের লাইন, মূল্যবদ্ধির দাপট

নয়ডায় দিল্লির সীমান্তে সোমবার সকাল থেকেই প্রবল ট্র্যাফিক জ্যাম। এমনকী অ্যাম্বুল্যান্সও ঘণ্টা দেড়েক ধরে দাঁড়িয়ে লাইনে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Reported by , , , Edited by

Coronavirus lockdown: দেশের অধিকাংশ অঞ্চলেই লকডাউন থাকায় থমকে গিয়েছে যানবাহন।

Highlights

  • এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১৫
  • এই পরিস্থিতিতে দেশের বহু অঞ্চলে লকডাউন
  • এর ফলে অনেক জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে ট্র্যাফিক জ্যাম
নয়াদিল্লি:

বাকি বিশ্বের মতো করোনা (Coronavirus) আতঙ্কে বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন ভারত। এখনও পর্যন্ত দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১৫। মৃত ৭। কোভিড-১৯-এর (COVID-19) মোকাবিলায় দেশের অধিকাংশ অঞ্চলেই লকডাউন। থমকে গিয়েছে যানবাহন। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি নিয়ে উদ্বের ক্রমেই বাড়ছে। বহু রাজ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা ‘জনতা কার্ফু'-কে প্রসারিত করে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীরা সকলকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, অত্যাবশ্যকীয় সরবরাহ ও পরিষেবা যথাযথ ভাবে মিলবে। গোটা দেশের ৮০টি জেলায় সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা ও বেঙ্গালুরুও। লকডাউনের অর্থ এখানে কেবল জরুরি পরিষেবাই মিলবে। রেল, মেট্রো, আন্তঃরাজ্য বাস সব বন্ধ। এদিকে পঞ্জাব, রাজস্থান ও হরিয়ানাতেও পরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ।

লকডাউন যাঁরা মানবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন

পরিবহণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে সকাল থেকেই সাধারণ মা‌নুষকে অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। যেমন মুম্বইয়ের মালাদের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, মুদিখানা খোলা থাকলেও সবজি অপ্রতুল। কোনও কোনও ওষুধের দোকান জানাচ্ছে, কী করে তারা মাস্ক বা স্যানিটাইজার কম টাকায় বিক্রি করবে। কেননা তারাও এটা কিনতে গিয়ে ছাড় পাচ্ছে না।

মুম্বইয়ে পাঁচ বা তার বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ, এমনকী গাড়ির মধ্যেও। তবে প্রয়োজনীয় সামগী নিয়ে যে ট্রাকগুলি আসবে তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে। জিনিসপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অভিযোগ না থাকলেও সীমান্তে চেকিংয়ের কারণে মাল সরবরাহে গতি কম থাকার অভিযোগ অবশ্য রয়েছে।

Advertisement

"জনতা কার্ফু" না মেনে রবিবার রাস্তায় নেমে পড়লেন খোদ সরকারি আধিকারিকরাই!

এদিকে দিল্লিতে বহু আগেই শাটডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তার ফলে অনেক সংশয়ও তৈরি হয়েছে। মেট্রো বন্ধ থাকার কারণে পেট্রোল পাম্র, নিরাপত্তা কর্মী, ওষুধের দোকানের কর্মীদের পক্ষে গন্তব্যে পৌঁছতে অসুবিধা হচ্ছে। এদিকে বাসের জন্য ৩০-৪৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ওলা, উবেরের মতো ক্যাব পরিষেবাও বন্ধ। ফলে প্রবল অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের।

মুদির দোকান, দুধ, রান্নার গ্যাস, টেলিকম পরিষেবা, খাবারের হোম ডেলিভারি, এটিএম পরিষেবা অবশ্য স্বাভাবিক রয়েছে। বাস চলছে খুবই অল্প। কেবল যাঁরা জরুরি পরিষেবায় যুক্ত তাঁরাই নিজেদের যানবাহন ব্যবহারের অনুমতি পাচ্ছেন।

Advertisement

এদিকে নয়ডায় দিল্লির সীমান্তে সোমবার সকাল থেকেই প্রবল ট্র্যাফিক জ্যাম। এমনকী অ্যাম্বুল্যান্সও ঘণ্টা দেড়েক ধরে দাঁড়িয়ে লাইনে।

এদিকে কেরলে কোনও দোকান খোলা নেই। তবে সবজি, ফলমূল ও অত্যাবশ্যক সামগ্রী, ওষুধ ইত্যাদি অবশ্য পাওয়া যাচ্ছে।

Advertisement

তেলেঙ্গানা সরকার ঘোষণা করেছে দরিদ্রদের ১২ কোজি করে চাল ও ১,৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।

Advertisement