This Article is From Dec 18, 2019

‘‘পুলিশ দোকান ভেঙেছে, সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে’’: সীলমপুরের দোকান মালিক

দোকানটির মালিক অনীশ মালিক জানিয়েছেন, তিনি দোকান ভাঙার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন। তাঁর প্রত্যাশা তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।  

‘‘পুলিশ দোকান ভেঙেছে, সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে’’: সীলমপুরের দোকান মালিক

দোকানটির মালিক জানিয়েছেন, দোকান ভাঙার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

New Delhi:

সোমবার সীলমপুরে শয়ে শয়ে প্রতিবাদীকে সামলাতে গিয়ে পুলিশ বিনা কারণে এক ট্র্যাভেল এজেন্সির দোকানের ক্ষতিসাধন করে পুলিশরা। এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ট্র্যাভেল এজেন্সির মা‌লিক। সোমবার নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে প্রতিবাদীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডাক পড়ে পুলিশের। বিক্ষোভকারীরা একটি পুলিশ বাসও পুড়িয়ে দেয়। দোকানটির মালিক অনীশ মালিক জানিয়েছেন, তিনি দোকান ভাঙার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন। তাঁর প্রত্যাশা তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। দোকানটির সামনের কাঁচ চূর্ণ বিচূর্ণ। ভিতরে রাখা কম্পিউটার ও টেলিফোন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। টেবিলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাঁচের টুকরো।

‘‘দেশে আগুন‌ লাগানো আপনার কাজ নয়'': অমিত শাহকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা

দোকানের মাল‌িক জানিয়েছেন, ‘‘আমি দোকানে ছিলাম দুপুর ২টো পর্যন্ত। কয়েকজন পুলিশকর্মী আমাকে এসে বলেন দোকান বন্ধ করে দিয়ে বাড়ি চলে যেতে, কেননা পরিস্থিতি খুব ভালো নয়। যেহেতু আমি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তাই আমার জন্য এই ভিড়ের কাচে থাকাটা আরও বিপজ্জনক। আমি শাটার নামাই তাড়াতাড়ি। কিন্তু তাড়াহুড়োয় তালা লাগাতে ভুলে গেছিলাম। এরপর আমি বাড়ি চলে যাই। পরে আমি দেখতে পাই আমার দোকান ভেঙেচুরে দেওয়া হয়েছে। ভিডি ক্লিপে দেখা গিয়েছে পুলিশকর্মীরা শাটার তুলে দোকান খুলে যা ছিল ভিতরে সব ভেঙে দিয়েছে।''

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল রাজধানী, উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ১৪৪ ধারা

তিনি আরও অভিযোগ জানান, দু'জন ব্যক্তিকে পুলিশরা মারধর করছে দেখতে পান তিনি। তাঁৱ দাবি, ওই দুই ব্যক্তি মিছিলে ছিলেন না। তাঁরা পাশের দোকানে কাজ করেন।

তবে তিনি জানান, স্থানীয় থানা তাঁকে জানিয়েছে, তাঁর দোকান ভাঙার ক্ষতিপূরণ তাঁকে দেওয়া হবে।

সংশোধিত নাগরকিত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিলটি রাজ্যসভায় পাস হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে এর প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। অসম ও পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বেশি প্রতিবাদ দেখা গিয়েছে।

সরকার সকলকে সংযত হওয়ার আবেদন জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পড়ুয়াদের হিংসা থেকে সরে এসে সভ্য ভাবে বিতর্কের মাধ্যমে প্রতিবাদ করার আর্জি জানিয়েছেন। 

.