IIT Bombay: এই সংস্থার নির্দেশক ফেসবুকে সংস্থার গরিব পড়ুয়াদের সাহায্য করার আবেদনও জানান
হাইলাইটস
- আইআইটি বম্বেতে মুখোমুখি বসে ছাত্রদের পড়ানো আপাতত পুরোপুরি বন্ধ
- শুধুমাত্র অনলাইনেই চলবে পঠনপাঠন, জানালেন সংস্থার নির্দেশক
- পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত
মুম্বই/ নয়া দিল্লি: দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus Cases In India) দাপাদাপি। সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রয়েছে মহারাষ্ট্রে, সেখানে প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। সব দেখেশুনে আর কোনও ঝুঁকি নিয়ে রাজি নয় আইআইটি বম্বে। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে মুখোমুখি ক্লাস করানো গোটা বছরের জন্যেই বন্ধ করে দিল সংস্থাটি (IIT Bombay)। বুধবার রাতে একটি ফেসবুক পোস্টে আইআইটি বম্বের নির্দেশক অধ্যাপক সুভাশিস চৌধুরী জানান, "দীর্ঘ আলোচনার পরেই" এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। "আইআইটি বম্বের ক্ষেত্রে সবসময়ই প্রথম অগ্রাধিকার পায় পড়ুয়াদের স্বার্থ। সেই পড়ুয়াদের সহায়তা করার জন্যেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে পরবর্তী সেমিস্টারের জন্যে পড়াশুনো শুধুমাত্র অনলাইন মোডেই (IIT Bombay Online Lectures) করানো হবে"।
একদিনের মধ্যে ১৬,০০০ এরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত, মোট ৪.৭৩ লক্ষ
জুলাই মাসে আইআইটি বম্বেতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্সের জন্য সেমিস্টার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। "অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের" পড়ুয়াদের জন্যে অনুদানের আবেদনও পোস্টটিতে ছিল।
রাজ্যে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ল লকডাউন, বন্ধ থাকবে স্কুল, কলেজ
ওই ফেসবুক পোস্টে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে লেখা হয়েছে, "আমাদের পড়ুয়াদের একটি বিরাট অংশ অর্থনৈতিকভাবে একটু পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকে এসেছে। তাই এই অনলাইন ক্লাসের জন্য আইটি হার্ডওয়্যার (যেমন ল্যাপটপ এবং ব্রডব্যান্ড সংযোগ) সমস্ত সুবিধা যাতে তাঁরা পায় তার জন্যে সাহায্যের প্রয়োজন" ।
"আমরা অনুমান যে আমাদের প্রায় ৫ কোটি টাকা প্রয়োজন এই অভাবী ছাত্রদের সাহায্য করার জন্যে। আমরা কোনওরকম বাধা ছাড়াই তাঁদের পড়াশুনো যাতে অব্যাহত থাকে তাই চাই। দেশের এই উজ্জ্বল তরুণ তরুণীদের সাহায্য করার জন্যে আপনাদের সাহায্য পাওয়ার জন্যে উন্মুখ হয়ে আছি আমরা", একথাও লেখেন আইআইটি বম্বের নির্দেশক অধ্যাপক সুভাশিস চৌধুরী।
ভারত জুড়ে, করোনা ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪.৫৬ লক্ষ। শুধু মহারাষ্ট্রেই আক্রান্ত ১.৩৯ লক্ষ মানুষ এবং বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০,০০০ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত।