হাইলাইটস
- শুক্রবারের পর শনিবারেও সর্বাধিক সংক্রমণ। দেশে সংক্রমিত প্রায় ১২ হাজার
- মোট সংক্রমণ ৩ লক্ষ ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। জানালো স্বাস্থ্য মন্ত্রক
- শুক্রবারেও একই হারে সংক্রমণের খবর মিলেছে
নয়াদিল্লি: ৩ লক্ষ ২০ হাজার ছাড়ালো দেশের করোনা সংক্রমণ (Covid-19 in India)। একদিনে সর্বাধিক ১১,৯২৯ জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩১১ জন। রবিবার সকালে এই তথ্য দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of health)। জানা গিয়েছে, পরপর দু'দিন ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজারের বেশী সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে দেশে। সংক্রমণের বিচারে বিশ্বের চতুর্থ দেশ ভারত (4th Place in World)। আগে শুধু ইউএস; ব্রাজিল এবং রাশিয়া। এদিকে গত একসপ্তাহে প্রায় ৬০ হাজার সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। মৃত প্রায় ২ হাজার। সবচেয়ে বিপর্যস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত এবং তামিলনাড়ু।এদিকে, সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবারের বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রবীণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ; স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন-সহ প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি আর নীতি আয়োগের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকার সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় বৈঠকে। সবচেয়ে সংক্রমিত রাজ্য মহারাষ্ট্র; দিল্লি ও তামিলনাড়ুও আলোচনায় উঠে এসেছিল।
নীতি আয়োগ; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আর স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে পিপিটি পরিবেশনা দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি পর্যালোচনা প্রসঙ্গে সম্যক ধারণা তুলে ধরতে এই উদ্যোগ। এদিকে, কিছুতেই যেন বাগে আনা যাচ্ছে না করোনা ভাইরাসকে। আনলক ১ শুরুর পর থেকেই ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। প্রতিদিনই যেন নতুন রেকর্ড গড়ছে ওই মারণ ভাইরাস। শুক্রবার ও শনিবারের নিরিখি সংক্রমণের এক নতুন রেকর্ড হলো। একদিনের মধ্যে দেশে নতুন করে কোভিড- ১৯ আক্রান্ত হয়েছিলেন ১১,৪৫৮ জন মানুষ।
সংক্রমণ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উদ্বেগ বাড়ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে করোনা চিকিৎসার স্বার্থে গাইডলাইনে সংশোধনী এনেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই গাইডলাইনে উল্লেখ; "এমার্জেন্সিতে রেমডেসিভির ওষুধ প্রয়োগ করা যাবে। প্রয়োগ করা যাবে টসিলিজুমেব ওষুধ আর প্রয়োজনে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা যেতে পারে।" জানা গিয়েছে, রেমডেসিভির সংক্রমণ প্রতিষেধক আর টসিলিজুমেব রোগ প্রতিরোধকারী ওষুধ হিসেবে কার্যকরী। পাশাপাশি করোনা চিকিৎসার একদম শুরুতে ম্যালেরিয়া-প্রতিরোধী হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করতে পারেন চিকিৎসকরা।