Mayur Vihar: দিল্লিতে ৩১ ব্যাটেলিয়নের ১২২ জন সিআরপিএফ জওয়ান করোনা পজিটিভ
হাইলাইটস
- দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার বেড়েই চলেছে
- করোনা ভাইরাসে এবার আক্রান্ত হলেন ১২২ জন সিআরপিএফ জওয়ান
- আরও ১০০ জন করোনায় আক্রান্ত এই আশঙ্কা করা হচ্ছে
নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) হাত থেকে রেহাই পেলেন না সিআরপিএফের জওয়ানরাও (CRPF)। দিল্লির ময়ূর বিহারে (Mayur Vihar) থাকা সিআরপিএফের ৩১ ব্যাটেলিয়নের ১২২ জওয়ান এবার কোভিড- ১৯ এর শিকার (122 Jawan Corona Positive) হলেন। আরও ১০০ জন জওয়ানের শরীর থেকে নমুনা নিয়ে করোনা টেস্টের জন্যে পাঠানো হলেও সেই পরীক্ষার ফলাফল এখনও আসেনি। গত ২৩ এপ্রিল করোনা ভাইরাসের কারণে একজন জওয়ান মারা গেছেন। একই ব্যাটেলিয়নের আরও ৪৫ জন সেনা গত সপ্তাহে করোনায় সংক্রমিত হন, এখন সেই সংখ্যা বেড়ে ১২২-এ পৌঁছে গেছে। সতর্কতা হিসাবে, ওই ব্যাটেলিয়নের সমস্ত জওয়ানকেই কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে এবং তাঁদের শরীর থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
বিরোধীদের কাঠগড়ায় রাজ্যের অডিট প্যানেলের করোনা মৃত্যুর পরিসংখ্যান
২৮ এপ্রিল, দিল্লিতে কর্তব্যরত সিআরপিএফের ৫৫ বছর বয়সী এক সাব-ইন্সপেক্টর সফদরজং হাসপাতালে মারা যান। অসমের বাসিন্দা এই জওয়ান যদিও ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাতেও ভুগছিলেন। শুধু ওই জওয়ানই নন, ৩১ ব্যাটেলিয়নের বাকি জওয়ানদের শরীরেও ওই মারণ ভাইরাসের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। জানা যায় ওই জওয়ানরা এর আগে কূপওয়ারাতে বহাল থাকা ১৬২ ব্যাটিলিয়নের করোনা আক্রান্ত কিছু প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের সংস্পর্শে আসেন। তারপরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই জওয়ানরা।
ওই সময় এক মেডিকেল কর্মী ছুটিতে নয়ডায় তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন। হঠাৎ লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পরে, ছুটিতে থাকা জওয়ানরা যেখানে ছিলেন সেখানেই তাঁকে থাকার জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই মেডিকেল কর্মীকে বলা হয় যে, যদি সম্ভব হয় তবে বাড়ির আশেপাশে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে করোনা আক্রান্তদের সাহায্যে কাজ করুন। যাতে পরিস্থিতি খারাপ হলেও স্বাস্থ্য পরিষেবা ঠিকঠাক রাখা যায়।
রেশন নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি ঝামেলা, রানাঘাটে বিক্ষোভ, অশান্তি জলপাইগুড়িতেও
নয়ডার বাসিন্দা ওই প্যারামেডিক্যাল কর্মী ৭ এপ্রিল ময়ূর বিহারের ৩১ ব্যাটালিয়নে যোগ দেন। সেই সময়ের প্রোটোকল অনুসারে, তাঁর পৃথক থাকার ব্যবস্থা করা হলেও সেই সময় তাঁর মধ্যে করোনা সংক্রমণের কোনও লক্ষণই দেখা যায়নি। কিন্তু ১৭ এপ্রিল, হঠাৎ করেই ওই কর্মীর শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে এবং তারপরে তাঁর শারীরিক নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ২০ এপ্রিল সেই ফলাফল ইতিবাচক আসে। সেই সময় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও ততক্ষণে তাঁর সংস্পর্শে অন্য জওয়ানরা আসায় তাঁরাও সংক্রমিত হয়ে যান।
ওই জওয়ানদের পরীক্ষা করে দেখা যায় তাঁরাও করোনা পজিটিভ। তারপর তাঁদের দিল্লি সরকারের মান্ডোলির কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে চিকিৎসার জন্যে পাঠানো হয়। ২২-২৩ এপ্রিল, তাঁদের মধ্যেই এক জওয়ানের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং পরে তাঁকে সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ২৮ এপ্রিল তিনি মারা যান।
এই ব্যাটিলিয়নে প্রায় ৬০০ জন জওয়ান ও আধিকারিক রয়েছে। মেডিকেল স্টাফ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কর্মরত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে কাউকেই এখন ওই ক্যাম্প ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি বা কাউকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতিও দেওয়া হয়নি।