This Article is From Aug 09, 2020

সংক্রমণ হার উর্ধ্বমুখী, কিন্তু ৪০% উপসর্গহীন! তাহলে কী কমছে অতিমারী প্রকোপ: গবেষণা

তাঁর মত, ক্রমে শক্তি হারাচ্ছে এই অতিমারী। এই সম্ভাবনা জিইয়ে রেখে গবেষকরা এগোলে ভবিষ্যতে সুফল মেলা সম্ভব। এমন দাবিও করেছেন তিনি

Advertisement
ওয়ার্ল্ড Edited by

সাত মাসের প্রকোপে প্রায় সাত লক্ষ প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস।

সংক্রমণের হার উর্ধ্বমুখী। কিন্তু বেশীরভাগ উপসর্গহীন। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এই তথ্য হাতে পেয়েছেন গবেষক মণিকা গান্ধি। বস্টনের একটা গৃহহীন ত্রাণশিবিরে ১৪৭ জন সংক্রমিত। কিন্তু ৮৮%-এর কোনও উপসর্গ নেই। এক ছাদের তলায় তাঁরা ভাগাভাগি করে থাকলেও উপসর্গ পাওয়া যায়নি প্রায় ১৩০ জন সংক্রমিতের। স্প্রিংডেলের এক পোল্ট্রি প্লান্টে ৪৮১ জন সংক্রমিত। কিন্তু ৯৫% উপসর্গহীন। নর্থ ক্যারোলিনা, ওহিও এবং ভার্জিনিয়ার জেলে সবমিলিয়ে ৩২৭৭ জন সংক্রমিত। তবে, ৯৬% উপসর্গহীন। প্রায় সাত মাস ধরে বিশ্বে দাপাচ্ছে করোনা। প্রাণ কেড়েছে ৭ লক্ষ মানুষের। কিন্তু গবেষক মণিকা গান্ধির এখন নতুন ভাবনা উপসর্গহীন সংক্রমিতের নেপথ্যে কারণ কী?

যাঁরা গুরুতর অসুস্থ, তাঁদের সঙ্গে কাজ করেও কীভাবে উপসর্গহীন থাকছে অধিকাংশ সংক্রমিত? কে তাঁদের সুরক্ষা দিচ্ছে? নাকি ভাগাভাগি করে থাকার জেরে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করে ফেলছে অধিকাংশ দেহ? সানফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়ায় এই গবেষক গান্ধির দাবি, "এই প্রশ্নগুলোর জবাব পাওয়া গেলেই ভ্যাকসিন তৈরি আরও সহজ হবে। করোনা অতিমারীকে বাগে আনা যাবে। এত শতাংশ উপসর্গহীন সংক্রমণ এক পক্ষে ভালো। সমাজের পক্ষে ভালো। ব্যক্তির পক্ষে ভালো।" তাঁর মত, ক্রমে শক্তি হারাচ্ছে এই অতিমারী। এই সম্ভাবনা জিইয়ে রেখে গবেষকরা এগোলে ভবিষ্যতে সুফল মেলা সম্ভব। এমন দাবিও করেছেন তিনি।
 

 দেশে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৬৪,৩৯৯ জন। এই সংখ্যা ধরে মোট সংক্রমিত ২১ হাজার পেরলো। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫ লক্ষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই খবর। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৮৬১ জন। এই সংখ্যা ধরে মোট মৃত ৪৩,৩৭৯ জন।  দেশে মোট সংক্রমিত ২১,৫৩,০১১ আর সক্রিয় সংক্রমণ ৬,২৮,৭৪৭ জন। সুস্থতার হার বেড়ে ৬৮.৩২%।

Advertisement