This Article is From Apr 01, 2020

COVID-19: দিল্লি মসজিদের ঘটনায় ৫টি ট্রেনের হাজার হাজার যাত্রীকে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু

প্রতিটি চ্রেনেই ১০০০-১২০০ জন করে যাত্রী ও রেলকর্মী ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

COVID-19: দিল্লি মসজিদের ঘটনায় ৫টি ট্রেনের হাজার হাজার যাত্রীকে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু

১৩ মার্চ থেকে ১৯ মার্চের মধ্যবর্তী সময়ে বেশ কিছু ট্রেনগুলির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। (প্রতীকী)

নয়াদিল্লি:

দিল্লির নিজামুদ্দিনের মসজিদে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে (Delhi Mosque Event) অংশ নেওয়া বহু ব্যক্তির শরীরে ধরা পড়েছে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা যে পাঁচটি ট্রেনে ভ্রমণ করেন, সেখানে তাঁদের সঙ্গে যে বিপুল সংখ্যক মানুষ যাত্রী হিসেবে তাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করতে চেষ্টা করছে রেলওয়ে। ১৩ মার্চ থেকে ১৯ মার্চের মধ্যবর্তী সময়ে যে ট্রেনগুলির দিকে নজর রাখা হচ্ছে সেগুলি হল গুন্টুর থেকে অন্ধ্রপ্রদেশগামী দুরন্ত এক্সপ্রেস, চেন্নাইগামী গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক এক্সপ্রেস, তামিলনাডু এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি-রাঁচি রাজধানী এক্সপ্রেস এবং এপি সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস। ঠিক কতজন ওই ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তা অবশ্য এখনও বলা যাচ্ছে না। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সূত্র জানাচ্ছে, প্রতিটি ট্রেনেই ১০০০-১২০০ জন করে যাত্রী ও রেলকর্মী ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪০, মৃতের সংখ্যা পৌঁছল ৩৮-এ

রেলওয়ে প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে সমস্ত যাত্রীদের তালিকা দিয়েছে। সেই তালিকার সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই অনুষ্ঠানে এঁদের মধ্যে কে কে ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।

দেখা গিয়েছে ১০ জন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক ১৩ মার্চ এপি সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেসে করিমনগরে গিয়েছিলেন অনুষ্ঠানের পরে। তাঁদের সকলের শরীরেই করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

দিল্লির মসজিদের সমাবেশে যোগদানকারীদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত কমপক্ষে ১২৮

প্রায় ৬০ জন যাত্রী নয়াদিল্লি-রাঁচি রাজধানী এক্সপ্রেসে বি১ কোচে ছিলেন। সেই কোচেই ছিলেন করোনা আক্রান্ত মালয়েশিয়ার মহিলা। মনে ‌করা হচ্ছে তিনিও নিজামুদ্দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।

১৬ মার্চ ওই মহিলার সঙ্গে ভ্রমণ করা অন্য ২৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দারাও। প্রসঙ্গত, এটাই ঝাড়খণ্ডের প্রথম করোনা সংক্রমণের কেস।

যে যাত্রীরা ওই ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করা রেল ও জেলা প্রশাসনের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন কাজ, কেননা ওই ব্যক্তিরা অবাধে যত্রতত্র ঘুরে বেড়িয়েছেন। তাছাড়া হজরত নিজামুদ্দিন ও নয়াদিল্লি স্টেশন দু'টিই দেশের অন্যতম ব্যস্ত রেলস্টেশন।

হজরত নিজামুদ্দিন স্টেশনে প্রতিদিন ৫৬টি দূরপাল্লার ট্রেন আসে। আসে আরও ১৩০টি ট্রেন। এদিকে নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে ৬২টি ট্রেন ছাড়ে। এখানে দাঁড়ায় ৭৬টি ট্রেন। 

.