শনিবার সকালে বিমানটি ভারতে এসে পৌঁছেছে।
হাইলাইটস
- এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ৭৪৭ বিমানে ফিরলেন আটক ভারতীয়রা
- ওই বিমানে মোট ৩২৪ জন ভারতীয় ছিলেন
- তাঁদের অধিকাংশই পড়ুয়া
নয়াদিল্লি: বিশেষভাবে প্রস্তুত এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ৭৪৭ বিমানে চিনের (China) উহান (Wuhan) থেকে ফেরানো হল আটকে পড়া সমস্ত ভারতীয়কে। এরই মধ্যে ওই শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। বিমানে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের পাঁচজন চিকিৎসক ছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়ার একজন প্যারামেডিক সদস্য ছিলেন। শনিবার সকালে বিমানটি ভারতে এসে পৌঁছেছে। যেহেতু সংক্রামিত রোগী কেবিন ক্রু ও অন্যান্য সহযাত্রীদের পক্ষে বিপজ্জনক, তাই সমস্ত ভারতীয়কে ভাল করে পরীক্ষা করা হবে। শনিবার আরও একটি বিশেষ বিমান চিনে যাবে। ওই বিশেষ বিমানে পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সাহায্যের জন্য ভারত চিনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। জানা গিয়েছে ওই বিমানে মোট ৩২৪ জন ভারতীয় ছিলেন। তাঁদের অধিকাংশই পড়ুয়া।
Coronavirus: চিন থেকে ফেরা ভারতীয়দের আলাদা করে রাখা হবে দিল্লিতে
উহান থেকে যে ভারতীয়দের ফেরানো হল, তাঁদের সকলকেই ১৪ দিনের জন্য দিল্লির মানেসরের আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হবে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও ভাবেই সংক্রণের ঝুঁকি না নেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন বিমানবন্দরে সমস্ত যাত্রীকে যুগ্মভাবে পরীক্ষা করে দেখছে এএইচও ও এএফএমএস-এর প্রতিনিধি দল।
এরপর আইসোলেশন সেন্টারে পড়ুয়াদের তিনটি দলে বিভক্ত করে তাঁদের পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রথম দলটিতে রাখা হবে সন্দেহজনক কেসগুলিকে। তাঁদের সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হবে বেস হসপিটাল দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের আইসোলেশন ওয়ার্ডে। প্রসঙ্গত, এই ভাইরাসের লক্ষণ জ্বর/সর্দি অথবা শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ থাকলেই তৎক্ষণাৎ সেই পড়ুয়াকে পাঠানো হবে সেখানে।
Coronavirus: ভারতেও মিলল সন্ধান, পর্যবেক্ষণে রাখা হল আক্রান্ত কেরলের পড়ুয়াকে
দ্বিতীয় দলে থাকবেন সেই পড়ুয়ারা, যাঁদের মধ্যে লক্ষণ দেখা না গেলেও তাঁরা সিফুড খেয়েছেন কিংবা পশু বাজারে গিয়েছেন। অথবা গত ১৪ দিনের মধ্যে সংক্রমণের লক্ষণযুক্ত কোনও চিনা ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন।
তৃতীয় দলে থাকবেন অপেক্ষাকৃত নিরাপদরা। এই দলে থাকবেন সেই পড়ুয়ারা, যাঁদের মধ্যে কোনও লক্ষণ নেই কিংবা তাঁরা কোনও সংক্রমণের লক্ষণযুক্ত চিনা ব্যক্তির সংস্পর্শেও আসেননি।
তিন দলের সকলেই ত্রিস্তরীয় মাস্ক পরে থাকবেন। তাঁদের সকলেরই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা হবেয় ১৪ দিন পরে যাঁদের মধ্যে কোনও লক্ষণ দেখা যাবে না, তাঁদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
কিন্তু বাড়ি চলে গেলেও তাঁরা জেলা/রাজ্য স্তরের নজরদারিতে থাকবেন।
ভারতে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের দেখা মিলেছে বৃহস্পতিবার। উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের এখ ছাত্রী, যিনি কেরলের বাসিন্দা তাঁর শরীরে ওই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে ত্রিশূরের এক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। এছাড়াও উত্তর কেরলের হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে আরও তিন সন্দেহভাজনকে। ৮০০-রও বেশি জনকে তাঁদের বাড়িতে রেখে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
কী করে বাঁছবেন করোনা ভাইরাস থেকে, জানতে দেখুন ভিডিও