গত ২৪ মার্চ থেকে দেশব্যাপী লকডাউনের (Lockdown) পর অবশেষে দিল্লির নর্থ ব্লকে কোভিড-১৯ ওয়ার রুমে (COVID-19 War Room) পরিস্থিতি পর্যালোচনা শুরু হল। ওই রুমের লক্ষ্য বিভিন্ন রাজ্য ও মন্ত্রক থেকে নিয়মিত পরিস্থিতির রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রী দফতরে পাঠানো। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ওয়ার রুমে লকডাউনের সময় দেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহ শৃঙ্খলের ব্যাপারেও তাঁকে জানানো হয় এদিন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দু'জন জুনিয়র মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি ও নিত্যানন্দ রাই। ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লাও। বিভিন্ন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিস্থিতি সম্পর্কেও তাঁকে জানানো হয় এদিন। তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পদক্ষেপগুলিও জানানো হয় তাঁকে।
দেশে করোনা আক্রান্ত ছাড়াল ১৫,০০০, এখনও পর্যন্ত মৃত ৫০৭
কোভিড-১৯ ওয়ার রুমের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। গত ২৫ মার্চ দেশব্যাপী লকডাউনের সময় থেকেই সরগরম রয়েছে এই ওয়ার রুম। মন্ত্রকের এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, এখানকার ৩৬টি হেল্পলাইনে ফোন করে যে কেউ তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে পারেন। তিনি আরও জানান, কেবল রাজ্য সরকারগুলিই নয়, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং ব্যক্তিগত স্তরে যাঁরা এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন তাঁরাও নিজেদের মতামত এখানে জানাতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘‘অধিকাংশ মানুষই অভিযোগ জানিয়েছেন খাবার ও ওষুধপত্রের অমিলের ব্যাপারে। আমরা এখান থেকে সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।''
Coronavirus: কলকাতায় এবার করোনায় আক্রান্ত ২১ মাসের শিশু
শনিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ তাঁর বাসভবনে মন্ত্রীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে ত্রাণ দিতে মন্ত্রক কী ভূমিকা নিতে পারে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
গত ২৪ মার্চ ২১ দিনের লকডাউনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৪ এপ্রিল সেই লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৪ এপ্রিলই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হল।