দেশে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে হামলা ঘটনা বেড়েই চলেছে।
নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারির (Coronavirus Pandemic) সময়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে আক্রমণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের (Health Workers) রক্ষার্থে সরকারের তরফে আনা হল নতুন অধ্যাদেশ। তাতে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে আক্রমণ জামিন অযোগ্য ধারা হিসেবে বলা হয়েছে। এই অপরাধে ছ'মাস থেকে সাত বছরের জেল হতে পারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর একথা জানিয়েছেন। একদিকে দেশের মানুষ যেখানে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মীদের লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন, সেখানে বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু মানুষ তাঁদের উপরেই আক্রমণ করছেন। প্রকাশ জাভড়েকর জানাচ্ছেন, ‘‘চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে আক্রমণের ঘটনা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।''
কাল থেকে ব্রিটেনে শুরু মানুষের উপরে করোনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ
১২০ বছরের পুরনো মহামারি আইনকে সংশোধন করে এই নতুন আইন তৈরি করা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে আশা কর্মী সকলকে রক্ষা করার জন্যই এই সংশোধন করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের বর্ধিত বিমার আওতায় আনা হবে বলেও জাভড়েকর জানিয়েছেন।
করোনা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেকথা সরকারের তরফে বারবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তবুও তাঁদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটছে। আগামী ২৩ এপ্রিল প্রতীকী প্রতিবাদের পরিকল্পনা করছিলেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
কেন্দ্রীয় দল পাঠানো নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে উত্তপ্ত চিঠি বিনিময়, নিয়ম মানার আশ্বাস দিল রাজ্য
কিন্তু সেই প্রতিবাদের পরিকল্পনা তাঁরা প্রত্যাহার করে নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আইসিএমআরে পৌঁছনোর পর। তিনি সেখানে পৌঁছে সকলকে আশ্বস্ত করে জানান, সরকার তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এবং তাঁদের রক্ষার্থে সম্ভাব্য সমস্ত পদক্ষেপ করবে।
বৈঠকের পর টুইট করে তিনি জানান, ‘‘কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিয়ে কোনও আপস নয়। তাঁধের জন্য সব সময় অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমি চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করেছি যে মোদি সরকার তাঁদের জন্য দায়বদ্ধ এবং আবেদন জানাচ্ছে প্রস্তাবিত প্রতিবাদ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য।''