Coronavirus: ‘সেফটি গিয়ার’-এর অভাবে ভুগতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের।
নয়াদিল্লি: দেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনা (Coronavirus) আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে প্রবল হচ্ছে সেফটি গিয়ারের অভাব! ফলে দেশের হাজার হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর জীবন বিপন্ন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ির একদল চিকিৎসক যাঁরা পূর্ব কাশ্মীরে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করছেন, তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, পিপিই না পেলে তাঁরা ধর্মঘটে যেতে পারেন। তবে এমন অভিযোগ কেবল ভারতেই শোনা যাচ্ছে তা নয়। অন্যান্য দেশেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। NDTV জেনেছে, ভারত সরকার পিপিই-র অর্ডার দিতে বিলম্ব করে সপ্তাহখানেক আগে থেকে। ২১ লকডাউন ঘোষণার সময় বা তার পর থেকে। করোনা ভারতে পা রেখেছে অন্তত আট সপ্তাহ আগে। দেশে এখন করোনা আক্রান্ত ১৬৩৭। মৃত ৩৮।
পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়া মুসলিম ধর্মগুরু নিখোঁজ
লকডাউনের পরে প্রথম যে অর্ডার করা হয়েছিল, তখন থেকেই সেই অর্ডার নিয়ে সংশয় শুরু হয়। যে সংস্থাগুলি এই ‘প্রোটেকটিভ গিয়ার' তৈরি ও সরবরাহ করে, দেখা যায় তারা মাসখানেক সময় চাইছে সরকারের থেকে। এর ফলে সমস্যা বেড়েছে। এই অবস্থায় বাইরে থেকে আমদানি করা সম্ভব না হওয়ায় প্রায় পুরোটাই ঘরোয়া নির্মাতাদের উপরে নির্ভর করতে হচ্ছে।
লকডাউনের ঠিক আগে ২৩ মার্চ সরকার একটি টেন্ডার আপলোড করে। তাতেই ‘সেফটি গিয়ার' সংক্রান্ত রূপরেখা পরিষ্কার হয়।
দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪০, মৃতের সংখ্যা পৌঁছল ৩৮-এ
এইচএলএল লাইফকেয়ার নামে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ এক সরকারি সংস্থা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় ‘সেফটি গিয়ার' সরবরাহের অন্যতম মুখ্য সংস্থা। তাদের ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয় সেই টেন্ডার।
চূড়ান্ত তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ১০ লক্ষ কভার অলস, ১০ লক্ষ প্রোটেকটিভ গগলস, ৪০ লক্ষ এন-৯৫ মাস্ক, দু'কোটি ত্রিস্তরীয় সার্জিক্যাল মাস্ক, ২০ লক্ষ গ্লাভস ও ১০ লক্ষ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রয়োজন।
একই দিনে স্বাস্থ্য মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলে, ফেব্রুয়ারি থেকেই তারা সেফটি গিয়ার নির্মাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। সম্প্রতি নমুনা পেশ করা ছ'টি ভারতীয় সংস্থা ‘কোয়ালিটি কন্ট্রোল' পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
পরের দিন ২৪ মার্চেও সমান পরিমাণ সেফটি গিয়ার চেয়ে বিশ্বব্যাপী টেন্ডার আপলোড করা হয়। ৩০ মার্চ আরও বিস্তৃত এক বিবৃতি দিয়ে বলে ১১টি ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে ২১ লক্ষ কভার অলের জন্য চুক্তি করা হয়েছে। পরে আরও একটি সংস্থার সঙ্গেও ৫ লক্ষ কভার অলের জন্য চুক্তি হয়েছে বলা জানানো হয়।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয় দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুর থেকেও ৩০ লক্ষ কভার অল আনানো হবে। কিন্তু কবে সেগুলি এসে পৌঁছবে তা বলা হয়নি।
বিবৃতিতে কোনও সংস্থার নাম বলা হয়নি। পাশাপাশি কবে তারা অর্ডার করা মাল ডেলিভারি করবে তাও বলা হয়নি। তবে দিনে ৬,০০০-৭,০০০ একদিনে তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়। এও বলা হয় এক সপ্তাহে তা বেড়ে দৈনিক ১৫,০০০ হয়ে যাবে।
কিন্তু ১৫,০০০টি করে দৈনিক বানানো হলেও সম্পূর্ণ চাহিদা মেটাতে ১৭৩ দিন লাগবে।
তালিকায় থাকা এক সেফটি গিয়ার নির্মাতা সংস্থা আমাদের জানিয়েছে, লকডাউনের সময় উদ্ভুত সমস্যার কারণেই মূল সমস্যা তৈরি হয়েছে।
১৪টি সংস্থার মধ্যে দু'টি সংস্তা কভার অল ও মাস্কের ফ্যাব্রিক প্রস্তুত করে। অধিকাংশ সংস্থা জানাচ্ছে তারা ২৪ মার্চ থেকে নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।