Read in English
This Article is From Apr 14, 2020

দেশে কোয়ারান্টাইনে ৩ লক্ষেরও বেশি, লকডাউন বাড়ানোর পিছনে বিশেষ পরিকল্পনা

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, ৩,২৩,০০০ মানুষ আইসোলেশনে রয়েছেন। এঁদের কেউ সরকারি তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। কেউ বা রয়েছেন নিজেদের বাড়িতে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Written by , Edited by

লকডাউনের ফলে সরকারের পক্ষে বিপজ্জনক সংক্রমণের স্থানগুলি চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে।

Highlights

  • স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, ৩,২৩,০০০ মানুষ আইসোলেশনে রয়েছেন
  • আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত কড়া নজরদারিতে থাকবে দেশের লকডাউন পরিস্থিতি
  • এর উপর নির্ভর করবে দেশের আগামী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে
নয়াদিল্লি:

সারা দেশে কোয়ারান্টাইনে (Quarantine) রয়েছেন ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ। তাঁদের মধ্যে কতজন কোভিড-১৯ (COVID-19)পজিটিভ হবেন সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত কড়া নজরদারিতে থাকবে দেশের লকডাউন (Lockdown) পরিস্থিতিও। এর উপর নির্ভর করবে দেশের আগামী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে। সরকারের সিনিয়র কর্মীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ‘রেড' জোনে যাঁরা আইসোলেশনে রয়েছেন তাঁদের দিকে নজর রাখতেই লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান‌মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০,৩৬৩। মৃত ৩৩৯। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, ৩,২৩,০০০ মানুষ আইসোলেশনে রয়েছেন। এঁদের কেউ সরকারি তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। কেউ বা রয়েছেন নিজেদের বাড়িতে।

“যাঁরা চালিয়ে যেতে অনিচ্ছুক...” অনুপস্থিতদের সতর্ক করে দিল মন্ত্রক

এক সিনিয়র সরকারি কর্মী NDTV-কে জানাচ্ছেন, ‘‘এই সব পরিসংখ্যানকে সঙ্গে নিয়ে ভারতকে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও জোরালো করতে হবে। লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে প্রায় সব রাজ্যই সমর্থন জানিয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী দু'সপ্তাহে আমরা নতুন এক ঝাঁককে আইসোলেশনে রাখতে পারব।''

Advertisement

তিনি বলেন, লকডাউনের ফলে সরকারের পক্ষে বিপজ্জনক সংক্রমণের স্থানগুলি চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। রাজ্য কর্তৃপক্ষরা পুলিশের সঙ্গে দিবারাত্র কাজ করে চলেছে। লক্ষ্য আরও বেশি সংখ্যককে চিহ্নিত করা।

"কাউকে বরখাস্ত করবেন না": লকডাউন জারি রাখার ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রীর ৭ আবেদন

Advertisement

আইসোলেশনের তালিকায় শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানে ৬৬,৩১১ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তরাখণ্ড। সেখানে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে ৩৭৩ জনকে। বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন ৫৫,৭৯৩ জন। সব মিলিয়ে ৫৬,১৬৬ জন সেখানে আইসোলেশনে রয়েছেন। 
তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা রাজস্থানে ৩৫,৮৪৩ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে সংখ্যাটা ৩১,১৫৮। হরিয়ানায় আইসোলেশনে রয়েছেন ১৬,২২৪ জন।

ঝাড়খণ্ড ও দিল্লিতে আইসোলেশনে রয়েছেন যথাক্রমে ১৫,৫৪৮ জন ও ১৫,৩২৭ জন। দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৫১০ জন। মৃত ২৮। আক্রান্তের তালিকায় তারা মহারাষ্ট্রের পরেই।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত হিসেবে ৯৫ জনের কথা জানানো হয়েছে। কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন ৩২৯ জন।

কেরল ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় চমৎকার পদক্ষেপ করেছে। সেখানে ৩৭৫ জন কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন। ৮০০-র বেশি মানুষকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

Advertisement

আগামী সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যার দিকে নজর রেখে সরকার হটস্পট নির্ধারিত করবে। সূত্রানুসারে, ৭১৮টি জেলার মধ্যে ৩৭০টিকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সব জেলাগুলির দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে সব এলাকার হটস্পট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেদিকে আমরা মনোযোগী ও কড়া নজরদারি করব।''

Advertisement