গোটা বিশ্ব এখন ভুগছে মারণ রোগ করোনা ভাইরাসে। ভারতেও একইসঙ্গে বাড়ছে এই রোগে (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা। এদেশে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন। এই ড্রাগ (Hydroxychloroquine) করোনাকে বাগে আনতে কিছুটা কার্যকরী ভূমিকা নেওয়ায় শুধু ভারতই নয়, গোটা বিশ্বও এখন খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরতে চাইছে এই ড্রাগটিকে। ফলে বাড়ছে এই ওষুধের চাহিদা। এই পরিস্থিতিতে এবার কলকাতার (Kolkata) বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল (Bengal Chemicals and Pharmaceutical) সংস্থাকে হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন তৈরির লাইসেন্স দিল সরকার। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল COVID-19 এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে 'গেম চেঞ্জার' হিসাবে ব্যবহৃত এই বিশেষ ড্রাগটি দিয়ে বেঙ্গল কেমিক্যালকে ২০০ মিলিগ্রাম এবং ৪০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট তৈরি করার অনুমতি দিয়েছে। ওই সংস্থার প্রধান পিএম চন্দ্রাইয়া বলেন, "আমরা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকরী এই ওষুধটি কোনওরকম লাভ ছাড়াই তৈরি করতে প্রস্তুত"। বর্তমানে বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালের যা পরিকাঠামো তাতে সংস্থাটি দিনে ১০ লক্ষ ট্যাবলেট তৈরি করতে পারে। শুধু তাই নয়, অতি প্রয়োজনে এই উৎপাদন বাড়িয়ে দিনে ১৫ লক্ষ পর্যন্তও করতে সক্ষম সংস্থাটি।
বেড়েছে ক্লোরোকুইনের চাহিদা! আশায় বুক বাঁধছেন রাজ্যের সিঙ্কোনা চাষিরা
"তবে, এক্ষেত্রে একটাই সমস্যা রয়েছে, তা হলে যথেষ্ট কাঁচামাল নেই। সরকারকে এই ওষুধ তৈরির জন্যে প্রয়োজনীয় কাঁচামালের জোগান দিতে হবে। আর কাঁচামাল বলতে সিঙ্কোনা গাছ। এর আগে আমরা যথেষ্ট পরিমাণে এর জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়েছি, তাই এবিষয়ে তৎপর হতে হবে সরকারকেই", বলেন বেঙ্গল কেমিক্যালের নির্দেশক চন্দ্রাইয়া। তিনি আরও বলেন যে, "এই কাঁচামাল হাতে পাওয়ার পরে আমরা ২ দিনের মধ্যেই এই ওষুধ উৎপাদন শুরু করতে পারি"।
ইজরায়েলকেও হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন দিল ভারত, মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন নেতানিয়াহু
কলকাতার বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যালেরিয়ার ওষুধ উৎপাদনকারী দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। সিঙ্কোনা গাছ থেকে ওই ওষুধ তৈরি করে তারা। মূলত উত্তরবঙ্গের অনেক অঞ্চলেই পাওয়া যায় সিঙ্কোনা গাছ।
ভারতে হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন কার্যকরী ফল দেওয়ায় তার দেখাদেখি বিশ্বের অন্যান্য দেশও চাইছে করোনা আক্রান্তদের উপর ওই ওষুধ প্রয়োগ করতে। সেই মতো ভারতের কাছে ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক ওই ড্রাগ চাইছে তারা। ইতিমধ্যেই আমেরিকার ডাকে সাড়া দিয়ে সেদেশে ওই ওষুধ পাঠিয়েছে ভারত। এমনকী ইজরায়েলকেও হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন সরবরাহ করছে দেশ। ফলে এখন ক্রমশই এই ওষুধের চাহিদা বাড়ছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)