কেন্দ্রীয় পরিদর্শক জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণে মৃত্যুর হার বেশি। (ফাইল)
নয়া দিল্লি: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগে সরব কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল (IMCT)। সম্প্রতি সংক্রমণ (Corona in Bengal) পরিস্থিতি, লকডাউন আবহ খতিয়ে দেখে গিয়েছে আন্তঃমন্ত্রী পরিষদীয় দল। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ, দুটি দলে ভাগে হয়ে এই পরিদর্শন। দিল্লিতে ফিরে সেই দল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মুখ্য সচিবকে চিঠি পাঠাল। সেই চিঠিতে উল্লেখ, "বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ফিল্ড ভিজিটে অনুমোদন দেয়নি রাজ্য। কথা বলতে দেওয়া হয়নি নাগরিকদের সঙ্গে। স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে দেয়নি রাজ্য। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে কয়েক দফা ভিডিও কনফারেন্স ছাড়া আর সেভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি রাজ্য সচিবালয় থেকে।" এই চিঠির প্রসঙ্গে মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা বলেন, "আমি সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম। সময় পেলেই তথ্য জোগার করে চিঠির জবাব দেব।"
পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে ট্রেন ভাড়া নেওয়ার কথাই হয়নি: কেন্দ্র
এদিকে, রাজ্যের সবুজ বা গ্রিন জোনগুলিতে সর্বোচ্চ ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস পরিষেবা চালু করার ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার, তবুও, সোমবার রাস্তায় নামল না কোনও বেসরকারি বাস। বাস সংগঠনের দাবি, এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় বাস নামালে আর্থিক ক্ষতি তো রয়েছেই, তারসঙ্গে আরও নানান ঝক্কি পোহাতে হতে পারে। রাজ্যের বাস মিনিবাস কোঅর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, এটা কোনও টেকসই চিন্তাধারা নয়, কারণ, ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস পরিষেবা চালু করলে জ্বালানির খরচও উঠবে না।
তাঁর কথায়, “সোমবার রাজ্যের কোনও সবুজ এলাকাতেই বাস নামেনি। আমরা রাজ্য সরকারকে বাসের অনুরোধ জানানোর আবেদন করছি, যেমনটা ভোটের সময় ভোটকর্মীদের নিয়ে যাওয়া আসার জন্য করা হয়। তাহলে রাজ্য সরকার বাস চালাতে পারে এবং মালিকদের দৈনিক ভাড়া দিতে পারে”।লকডাউন কার্যকর হওয়ার পর থেকে কলকাতার মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় বা জরুরি পরিষেবার কারণে বাস পরিষেবার হাল কঙ্কালসার চেহারা তৈরি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ রাজ্যে মোট ৮টি গ্রিন জোন বা সবুজ এলাকা রয়েছে, তারমধ্যে রয়েছে, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, এবং ঝাড়গ্রাম।
অপরদিকে, রাজ্যে কোনও লাল জেলা নেই বলে সোমবার জানাল রাজ্য সরকার। এ রাজ্যে কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৫১৬ হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে নবান্নের তরফে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, এ রাজ্যে মোট কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৪৪৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫১৬স সেখানে কলকাতায় কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৬৪ থেকে বেড়ে ৩১৮ হয়েছে। সোমবার রাজ্যের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনায় কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৮১, হাওড়ায় ৭৪, হুগলিতে ১৮, পূর্ব মেদিনীপুরে ৯টি কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে। আরও অন্যান্য ৮টি জেলায় কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৫ এরও কম।