தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From May 24, 2020

“অন্ধকূপের মতো”, করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর পর হাসপাতালকে বলল গুজরাটের আদালত

Coronavirus Cases, India: দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১.৩ লক্ষেরও বেশি, মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩,৮০০ জন

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

নাগরিক হাসপাতালের তরফে দেওয়া করোনায় মৃত্যুর তথ্য উল্লেখ করে গুজরাট হাইকোর্ট (ফাইল)

আহমেদাবাদ /নয়াদিল্লি:

মানবজীবন মূল্যবান, এবং তা নষ্ট করা যায় না, আহমেদাবাদের হাসপাতালের (Hospital in Ahmedabad) বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলল গুজরাট হাইকোর্ট (Gujarat High Court), এই মুহুর্তে দেশে করোনা ভাইরাস (Coronavirus) আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শহরগুলির এটি শীর্ষ তালিকায় রয়েছে। এই হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত ৩৫০ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে, এদিন হাসপাতালটিকে অন্ধকূপ বলে মন্তব্য করে আদালতের উপলব্ধি, “গরীব ও অসহায় মানুষদের কোনও বিকল্প নেই”, অথচ তাঁদের ভরসার কোনও জায়গায় নেই এই স্বাস্থ্য সঙ্কটের মুহুর্তে। আদালত তার নির্দেশে জানিয়েছে, “যেমনটা আমরা আগে বলেছিলাম যে, পুর হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা হয়। যাইহোকবা, মনে হচ্ছে এটা অন্ধকূপের মতোই। এমনকী, অন্ধকূপের থেকেও খারাপ হতে পারে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, গরীব ও অসহায় মানুষদের কোনও বিকল্প নেই”।

যাত্রীবাহী বিমানে না, লকডাউন বাড়াতে পারে মহারাষ্ট্র

হাইকোর্টের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এখনও পর্যন্ত আহমেদাবাদের এই পুর হাসপাতালে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, “যদি আমরা সাপ্তাহিক মৃত্যু হিসেব করি, তাহলে গত ৮ সপ্তাহে পুর হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এটা খুবই অসহায়তা যে, বেশীরভাগ রোগীই চারদিনের বেশী বা কিছুটা চিকিৎসার পরেই মারা যাচ্ছেন। এর অর্থ সঙ্কটজনক চিকিৎসায় ব্যাপক গলদ রয়েছে”।

Advertisement

গুজরাটে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১৩,০০০ এবং ৮২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত, এই পরিসংখ্যান মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুর পরেই ঠাঁই দিয়েছে গুজরাটকে। শুধুমাত্র আহমেদাবাদেই ১০,০০০ এর বেশি করোনা আক্রান্ত রয়েছে, শনিবারই নতুন করে ২৭৭ জনের করোনা সংক্রমণ হয়েছে। সে রাজ্যে ৬৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসে।

আদালতের রায়ে মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণির সরকারের থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিতিনভাই রতিলাল প্যাটেলের থেকে রিপোর্ট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁকে ধমক দেয় আদালত।

Advertisement

অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিমানযাত্রায় নয়া নির্দেশিকা: জেনে নিন কী করবেন, কী করবেন না

আদালতের রায়ে বলা হয়, “আমরা খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, এখনও পর্যন্ত আহমেদাবাদ খুব খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে। সাধারণভাবে, গরীব মানুষরা পুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। তার অর্থ এই নয় যে, মানুষের জীবন সুরক্ষিত থাকবে না। মানব জীবন খুবই মূল্যবান এবং তা আহমেদাবাদের নাগরিক হাসপাতালের মতো জায়গায় নষ্ট হতে দিতে যায় না”।

Advertisement

এদিন শুনানির সময়, আদালত বলে, “আমরা অবাক হচ্ছি, রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী, আহমেদাবাদের পুর হাসপাতালে কী হচ্ছে, বা সেখানকার পরিস্থিতির খোঁজখবর নিতে কতবার সেখানে গিয়েছেন তা চিন্তা করে। এখনও পর্যন্ত সেখানকার রোগী, চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য কর্মীরা যে সমস্যা ভোগ করছেন, সে সম্পর্কে রাজ্যের স্বাস্থমন্ত্রীর কোনও ধারণা আছে”?

এশিয়ার বৃহত্তম পুর হাসপাতাল হিসেবে নাম রয়েছে আসারওয়ার এই হাসপাতালটির। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য এখানে ১,২০০ শয্যা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। তবে, বেশীরভাগ রোগীরই সাধারণ ওয়ার্ডে চিকিৎসা করা হয় বলে এদিন পর্যবেক্ষণ আদালতের।

Advertisement

‘‘আমার মাথা কেটে নিন'': আমফান পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী

আদালত মন্তব্য করে, “এটা দাঁড়াচ্ছে যে, এসভিপি এবং পুর হাসপাতালে, সমস্ত করোনা রোগীকে কেবলমাত্র সাধারণ ওয়ার্ডে রেখেই চিকিৎসা করা হয়, এবং ঘরগুলি কেউ না থাকায় কৃত্রিমভাবে শয্যা কম দেখানো হয়”।

Advertisement

আদালতের তরফে আরও বলা হয়, “সবাইকে অবশ্যই কোভিড পরীক্ষা করতে হবে”, পাশাপাশি বিচারপতিরা আরও বলেন, “বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলিতে পরীক্ষার খরচের একটি সীমা থাকা দরকার, বর্তমান পরিস্থিতিতে যা রয়েছে ৪,৫০০ টাকা”।

এর আগে, চলতি সপ্তাহে, আহমেদাবাদের কংগ্রেস বিধায়ক গয়াসুদ্দিন শেখ, পুর হাসপাতাল থেকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠানোর সংখ্যা কম এবং মৃত্যুর হার বেশি হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে জাতীয় মানবধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

মানবধিকার কমিশনে লেখা চিঠিতে, কংগ্রেস বিধায়ক অভিযোগ করেন, আহমেদাবাদের পুর হাসপাতালে করোনা রোগীদের প্রতি অবহেলা করা হচ্ছে এবং যথাযথা চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না, ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।

দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১.৩ লক্ষেরও বেশি, মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩,৮০০ জন।

(PTI এর তথ্য সংযুক্ত করা হয়েছে)

Advertisement