জন। বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩,০০০০০ এবং মৃতের সংখ্যা ১৩,০০০।
হাইলাইটস
- এখনও পর্যন্ত দেশে ৩১৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ দেখা গিয়েছে
- ২৫ মার্চ পর্যন্ত দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানাচ্ছে সূত্র
- রবিবার প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে দেশজুড়ে ‘জনতা কার্ফু’ পালিত হয়
নয়াদিল্লি:
করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রেল পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে, শনিবার রাত পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ জন। বিহার এবং মুম্বইয়ে, মোট দুজন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৬ জন। দেশে ৩৬০টি করোনা আক্রান্তের ঘটনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল, ফলে এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে দেশজুড়ে ১৪ ঘন্টার জনতা কার্ফুর ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার রাত ১০.৪৫টা পর্যন্ত ৩১৫জন আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২২ জন। বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩,০০০০০ এবং মৃতের সংখ্যা ১৩,০০০।
রইল এ সম্পর্কে ১০ তথ্য:
রবিবার সকালে বৈঠকে, যাত্রীবাহি রেল পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় রেলবোর্ড।শুধুমাত্র মালগাড়ি চলবে। ১৩ এবং ১৬ মার্চ রেলে সফরকারী ১২জন যাত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়, তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৩১ মার্চ পর্যন্ত সে রাজ্যে কোনও ট্রেন যাতে ঢুকতে পারে, তারজন্য রেলবোর্ডকে চিঠি দিয়েছে ঝাড়খণ্ড।
কাতার থেকে ফেরা ৩৮ বছরের এক ব্যক্তির সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন বিহারের স্বাস্থ্য সচিব সঞ্জয় কুমার। যদিও তাঁর মৃত্যু হয়েছে মুত্রাশয়ের সমস্যার কারণে, তবে ওই ব্যক্তি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ছিলেন বলে জানান তিনি। মুম্বইয়েও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ৬৩ বছরের ওই ব্যক্তি শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কারণে মারা গিয়েছেন।
সমস্ত মানুষকেই সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকার, সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জিম কেন্দ্র, মিউজিয়াম, সংস্কৃতিক এবং সামাজিক জমায়েতের কেন্দ্রগুলি, সুইমিং পুল, থিয়েটার বন্ধ রাখা হবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। বাস পরিষেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছে একাধিক রাজ্য। পর্যটকদের এবং লোকজন কমাতে সীমানা বন্ধ রেখেছে গোয়া।
দিল্লিতে, জনতার কার্ফুর কারণে, রবিবার বন্ধ ছিল মেট্রো পরিষেবা। আধিকারিকরা জানান, জমায়েত বা ভিড় এড়াতে সোমবার কয়েকঘন্টা ছাড়া বাকি সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে মেট্রো পরিষেবা। সম্পূর্ণ বন্ধ দিল্লির অন্যতম ব্যস্ত এলাকা কনট প্লেস।
৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে পঞ্জাব এবং রাজস্থান, সমস্ত গণপরিবহন ব্যবস্থা স্থগিত করা হয়েছে এবং শপিং মল ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে। গরীব মানুষদের মধ্যএ খাবারের প্যাকেট এবং আটা বিলি করা হবে বলে জানিয়েছে রাজস্থান। এর আগেও গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ রেখেছিল পঞ্জাব।
আহমেদাবাদ, সুরাত, রাজকোট এবং ভদোদরা বুধবার পর্যন্ত বন্ধ রাখবে গুজরাত। সব্জি, দুগ্ধজাত পণ্য এবং ওষুধের দোকানগুলি বন্ধ থাকবে।
এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা এবং উড়ান কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অনেক উড়ান সংস্থা।
দেশজুড়ে তিরুমালার মতো মন্দির এবং তাজমহলের মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে, সেখানে সংখ্যাটা ৭৪, কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০, তারমধ্যে সাতজন বিদেশি নাগরিক। দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত ২৭ জন, তারমধ্যে একজন বিদেশি। ২৪টি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরপ্রদেশে, তারমধ্যে একজন বিদেশি। তেলেঙ্গানায় ২১ জন আক্রান্ত, তারমধ্যে ১১ জন বিদেশি নাগরিক। রাজস্থান ও হরিয়ানায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ জন।
কর্নাটকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫। পঞ্জাব এবং লাদাখে ১৩ জন করে করোনা আক্রান্ত। গুজরাতে ভাইরাস আক্রান্ত ৭ জন এবং কাশ্মীরে ৪। তামিলনাড়ু, অন্ধপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে তিনজন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। ওড়িশায় দুজন, পদুচেরি, ছত্তিশগড়, এবং চণ্ডীগড়ে একজন করে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত।
Post a comment