যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক এই চিঠিকে নিয়মমাফিক চিঠি বলে বর্ণনা করেছেন (ফাইলচিত্র)
হাইলাইটস
- পশ্চিমবঙ্গে লকডাউনের বিধিনিষেধ ঠিকভাবে মানা হচ্ছে না, অভিযোগ কেন্দ্রের
- লকডাউন মেনে চলার জন্যে ব্যবস্থা নিক রাজ্য সরকার, চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
- ৪ এপ্রিল এবং ১০ এপ্রিলও ওই একই কথা বলে আরও দুটি চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার
কলকাতা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখতে লকডাউনই (Coronavirus Lockdown) একমাত্র পথ, এমনটাই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের মতো দেশের বহু রাজ্যই সায় দিয়েছে লকডাউনের মেয়াদবৃদ্ধিতে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে (Coronavirus) অভিযোগ উঠছে যে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) এমন কিছু ঘটনা ঘটছে যা লকডাউনের নিয়মভঙ্গেরই নামান্তর। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ ও শিলিগুড়ির ঘটনা সেই অভিযোগেরই প্রমাণ। এর আগে কেন্দ্র এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি দিলেও এখনও থেকে যাচ্ছে ফাঁকফোকর, তাই লকডাউনের নিয়ম যাতে রাজ্যে কঠোরভাবে মানা হয় সেই কথা বলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আরও একটি চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জানা গেছে কেন্দ্রের তরফে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্য সচিব এবং পুলিশের মহা নির্দেশকের উদ্দেশে।
"জানা গেছে যে শিলিগুড়িতে নিত্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটার জন্যে প্রচুর মানুষ ভিড় করছেন এবং শিলিগুড়িতে অপরিহার্য জিনিসপত্রের দোকান ছাড়াও সাধারণ দোকানও খোলা রাখা হচ্ছে। এছাড়াও, মুর্শিদাবাদ জেলার কয়েকটি মসজিদেও লকডাউনের নিয়ম ভেঙে জমায়েত করা হয়েছে", বলা হয় ওই চিঠিতে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে মিষ্টি ও ফুলের দোকান খোলার অনুমতি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
বাইরে বেরোলে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করল রাজ্য সরকার
কেন্দ্রের তরফ থেকে লেখা হয়, "লকডাউন যাতে ঠিকঠাক ভাবে মানা হয় তার জন্যে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে অনুরোধ করা হচ্ছে। জেলা কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন সংস্থাগুলিকে যেন সেই অনুযায়ী নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে ভবিষ্যতে এ জাতীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে"।
যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিককে এই চিঠির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কেন্দ্রের ওই চিঠিকে নিয়মমাফিক চিঠি বলেই বর্ণনা করেছেন।
জুনের ১০ অবধি রাজ্যে চলবে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম: শিক্ষামন্ত্রী
লকডাউনের বিধি মানা হচ্ছে না রাজ্যে, এই অভিযোগ করে এই নিয়ে তৃতীয়বার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এর আগে প্রথম এবং দ্বিতীয় চিঠিটি যথাক্রমে ৪ এপ্রিল এবং ১০ এপ্রিল পাঠানো হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তার চিঠিতে রাজ্যে যেভাবে লকডাউনের বিধিনিষেধ "ধীরে ধীরে হ্রাস" করা হচ্ছে সে বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে এবং বলেছে যে অপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ ধর্মীয় সমাবেশেরও অনুমতিও দিয়েছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)