This Article is From Apr 05, 2020

সংক্রমণ প্রতিরোধে এক মাস আঁতুড়ঘর সিল করে রাখার পরিকল্পনা: স্বাস্থ্য মন্ত্রক

পাশাপাশি সংক্রমিত ও সন্দেহভাজনদের চিকিৎসাধীন করতে হবে। রাখতে হবে আইসোলেশনে। এটাও উল্লেখ সেই স্বাস্থ্য বিধিতে

সংক্রমণ প্রতিরোধে এক মাস আঁতুড়ঘর সিল করে রাখার পরিকল্পনা: স্বাস্থ্য মন্ত্রক

করোনা সংক্রমণ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম সংক্রমিতদের থাকার জায়গা সিল করা।

হাইলাইটস

  • করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আরও আক্রমণাত্মক হল কেন্দ্র
  • সিল করে হবে আঁতুড়ঘর। যতদিন না পর্যন্ত নেগেটিভ রোগীর সন্ধান মিলছে
  • পজিটিভ রোগী থেকে নেগেটিভ রোগী, অর্থাৎ একমাস পর্যবেক্ষণে থাকবে সেই এলাকা
নয়া দিল্লি:

করোনা সংক্রমণ (Corona) প্রতিরোধে এবার আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিতে চলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Health Ministry)। করোনার আঁতুড়ঘরকে (Hotspot zone)  সিল করার উদ্যোগ নিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। গত কয়েকদিন ধরে বেড়েছে সংক্রমণ মাত্রা। অভিযোগ, "এভাবে মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পিছনে নিজামুদ্দিনের মসজিদ (Delhi's Nizamuddin) জমায়েত অনুঘটকের কাজ করেছে।" এবার তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই ধরনের আঁতুড়ঘর একমাস সিল করে রাখা হবে। সেই তালিকায় ঢুকবে এমন এলাকা, যেখান থেকে সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি। যতক্ষণ না পর্যন্ত সব রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে, ততদিন সিল থাকবে সেই আঁতুড়ঘর। শেষ পজিটিভ রিপোর্ট আর শেষ নেগেটিভ রিপোর্টের মধ্যে এক মাসের তফাৎ হতেই হবে। স্বাস্থ্য বিধিতে উল্লেখ করেছে মন্ত্রক। 

COVID-19 নিয়ে আলোচনা করতে সোনিয়া গান্ধি, দুই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে ফোন প্রধানমন্ত্রীর

পাশাপাশি সংক্রমিত ও সন্দেহভাজনদের চিকিৎসাধীন করতে হবে। রাখতে হবে আইসোলেশনে। এটাও উল্লেখ সেই স্বাস্থ্যবিধিতে। সেই বিধিতে উল্লেখ, "পর্যবেক্ষণে থাকা কিংবা চিকিৎসাধীন রোগীর দু'বার নমুনা পরীক্ষা হবে। দু'বার রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে, ছেড়ে দেওয়া হবে সেই রোগীকে। যাদের অল্প করোনা উপসর্গ তাঁদের স্টেডিয়ামে আইসোলেটেড করা হবে। যাদের মাঝারি উপসর্গ, তাঁরা থাকবেন হাসপাতালের কোয়ারান্টাইন কেন্দ্রে। আর যাদের উপসর্গ বেশি তাঁরা করোনা জন্য বিশেষ ভাবে নির্মিত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকবেন।" 

তালাবন্দি আইসিইউ রুম! সময়ে চাবি খুঁজে না পাওয়ায় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু মহিলার

এই বিধিতে বলা হয়েছে, করোনার আঁতুড়ঘর চিহ্নিত এলাকার কোনও স্কুল,কলেজ, অফিস খুলে রাখা যাবে না। চলবে না সরকারি বা বেসরকারি গণপরিবহণ। একমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যকে ছাড় দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সেই বিধিতে আরও বলা হয়েছে, মহামারী এইচ১এন১ ইনফ্লুয়েঞ্জার কিচ্ছু লক্ষ্মণ এই ভাইরাসের মধ্যেও দেখা গিয়েছে। জনঘনত্ব বেশি এমন এলাকায় করোনার প্রভাব বেশি। তার মানে এই নয় গোটা দেশেকে সংক্রমিত করবে এই ভাইরাস। এমন দাবি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাই আঁতুড়ঘরকে নজরবন্দি করে নতুন করে কোমর বাঁধতে চাইছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলে সূত্রের খবর। 

.