This Article is From May 29, 2020

শুধু বৃহস্পতিবারই ৩৬৭ টি বিমানে ৩০,০০০ এরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করেছেন: বিমান মন্ত্রী

Domestic Flights: কলকাতা ও বাগডোগরা ছাড়া ২৫ মে থেকে গোটা দেশে অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা চালু হয়, ২৮ মে থেকে যদিও ওই দুই বিমানবন্দর থেকেও উড়ান শুরু হয়

শুধু বৃহস্পতিবারই ৩৬৭ টি বিমানে ৩০,০০০ এরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করেছেন: বিমান মন্ত্রী

Indian Lockdown: বুধবার ৪৬০ টি বিমানে সওয়ার হন ৩৪,৩৩৬ জন যাত্রী, জানান অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী (ফাইল চিত্র)

হাইলাইটস

  • ২৫ মে থেকে শুরু হয়েছে দেশীয় বিমান পরিষেবা
  • প্রতিদিনই বেশ কিছু যাত্রী বিমানে করে তাঁদের গন্তব্যে যাচ্ছেন
  • তবে করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই চলছে যাত্রীদের পরীক্ষা-নিরিক্ষা
নয়া দিল্লি:

করোনার (Coronavirus) চোখরাঙানি এড়িয়ে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রয়াস হিসাবে ২৫ মে থেকেই দেশের অভ্যন্তরে বিমান পরিষেবা (Domestic Flights) শুরু হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় আমফানে বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা এবং বাগডোগরা বিমানবন্দরে ২৮ মে থেকে শুরু হয় বিমান চলাচল। দেশের উড়ানগুলোতে প্রতিদিনই সওয়ার হয়েছেন বেশ বড় সংখ্যক যাত্রী। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানিয়েছেন যে, শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৩৬৭ টি দেশীয় বিমান চলাচল করেছে, এবং বিমানগুলো সবমিলিয়ে মোট ৩০,১৩৬ জন যাত্রী পরিবহণ করেছে। এদিকে বুধবার ৪৬০ টি বিমানে সওয়ার হন ৩৪,৩৩৬ জন যাত্রী। লকডাউনের (Indian Lockdown) কারণে প্রায় মাস দুয়েক বন্ধ ছিল দেশের বিমান পরিবহণ পরিষেবা। গত সোমবার থেকেই ভারতে অভ্যন্তরীণ বিমানের উড়ান শুরু হয়। 

করোনার প্রভাব বাড়ছে, অমিত শাহের সঙ্গে লকডাউন নীতি নিয়ে আলোচনায় উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী

সিভিল এভিয়েশন ডিরেক্টর জেনারেলের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে, যখন দেশে লকডাউন শুরু হয়নি, তখন দৈনিক গড়ে প্রায় ৪.১২ লক্ষ যাত্রী ভারতের অভ্যন্তরীণ বিমানে সফর করছিলেন।

প্রাক-লকডাউন সময়কালে, ভারতীয় বিমানবন্দরগুলি থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩,০০০ টি অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল করতো বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভারতের ব্যস্ততম বিমানবন্দর, দিল্লি বিমানবন্দরে ১৪৭ টি বিমান গন্তব্যেই উদ্দেশে যাত্রা করে এবং ১৪৫ জন বিমান অন্য জায়গা থেকে ওই বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে জানিয়েছেন উর্ধ্বতন সরকারি আধিকারিকরা।

করোনা ভাইরাসের প্রেক্ষাপটে ভারত এখনও আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমান চলাচল স্থগিত রয়েছে। এই মহামারীকে আটকাতে দেশে লকডাউনের বিধিনিষেধ জারির কারণে ২৫ মার্চ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত দেশে সমস্ত নির্ধারিত দেশীয় বিমানের মাধ্যমে যাত্রী পরিষেবা স্থগিত ছিল।

মমতা মন্ত্রিসভায় করোনার থাবা, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু কোভিড- ১৯ পজিটিভ

তবে বিমান পরিষেবা দেশীয় স্তরে ফের চালু হলেও পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা এবং তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলো তাদের বিমানবন্দরগুলি থেকে সীমিত সংখ্যক বিমান চালানোর বিষয়ে অনুমতি দিয়েছে। কেননা এই রাজ্যগুলিতে কোভিড- ১৯ পরিস্থিতি বেশ ভয়াবহ। এই সময় প্রচুর পরিমাণে বিমানের উড়ানে অনুমতি দিয়ে রাজ্যগুলো নিজেদের করোনা পরিস্থিতি আরও জটিল করতে ইচ্ছুক নয়।

২৮ মে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই কলকাতা ও বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ফের বিমান পরিষেবা চালু হয়। কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ একটি টুইটে জানায়, "ওয়েলকাম ব্যাক, বিমান যাত্রীরা! কলকাতা বিমানবন্দরে প্রায় দু'মাস পরে @ দিল্লি এয়ারপোর্ট থেকে ১২২ জন যাত্রী নিয়ে বিমান অবতরণ করেছে। এছাড়া ৪০ জন যাত্রী নিয়ে এখান থেকে গুয়াহাটির উদ্দেশে যাত্রা করে আর একটি বিমান। যথাযথ নিয়ম মেনেই এখানে যাত্রীদের পরীক্ষা করা হয়েছে, এবং টার্মিনালে নিয়মিত স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে, তবে এরজন্যে যাত্রীদের মধ্যে কিছুটা বিভ্রান্তিরও সৃষ্টি হয়েছিল"।

বৃহস্পতিবার ১১টি বিমান কলকাতা থেকে ছেড়ে যায় এবং সমান সংখ্যক বিমান শহরে এসে পৌঁছয়, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে খবর। 

বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, “মোট ১,৭৪৫  জন যাত্রী কলকাতায় এসেছেন এবং ১,২১৪ জন যাত্রী আজ (বৃহস্পতিবার) শহর থেকে রওনা হয়েছেন"।

.