COVID- 19: দেশ তথা রাজ্য জুড়ে ক্রমেই বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা, উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী
হাইলাইটস
- রাজ্যের করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করছে রাজ্য সরকার
- কোনও করোনা রোগীকে ফেরানো যাবে না, বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে বার্তা মমতার
- রাজ্যের করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে সকলকে একযোগে লড়াইয়ের ডাক মুখ্যমন্ত্রীর
কলকাতা: করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত কোনও রোগীকেই যেন ফিরিয়ে দেওয়া না হয়, রাজ্যের (West Bengal) বেসরকারি হাসপাতালগুলোর প্রতি এমনই আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও ক্রমশই বাড়ছে করোনা সংক্রমিতের (COVID- 19) সংখ্যা। কিন্তু বহু বেসরকারি হাসপাতালই COVID- 19 আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি নিতে চাইছেন না, এমন অভিযোগ উঠছে বেশ কিছুদিন ধরে। এই কথা মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) কানে যেতেই তৎপর হলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানান, "আমরা ৫১ টি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে রেখেছি যাতে তারা এই পরিস্থিতিতে সহযোগিতা করে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের কোনওভাবই ফেরানো যাবে না। ভুলে যাবেন না যে রাজ্য সরকার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাজনিত সমস্ত ব্যয় বহন করছে। তাই আমি অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালগুলোর কাছে আবেদন করছি, আপনারা প্রয়োজনীয় সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করুন, কাউকে ফেরাবেন না", রাজ্য সচিবালয় নবান্ন থেকে এই বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
চা, সিগারেটের দোকান খুলবে, তবে ভিড় করা যাবে না: ৪ মে থেকে পরিকল্পনা রাজ্যে
"তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেও কিন্তু আমাদের বাচ্চাদের টিকা দেওয়া, রোগীদের ডায়ালাইসিস করা, গর্ভবতী মহিলাদের চিকিৎসা করা এবং হৃদরোগীদের উপর নজর রাখা, এগুলোও চালিয়ে যেতে হবে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর উদ্দেশে একটি নির্দেশিকা জারি করতে চলেছি। যাতে তারা তাদের সমস্ত পরিষেবা চালু রাখে এবং কোনওভাবেই চিকিৎসার প্রয়োজনে হাসপাতালে আসা করোনা রোগীদের প্রত্যাখ্যান না করে", একথাও বলেন তিনি।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের কারণে বহু চিকিৎসক তাঁদের ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধ রেখেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই চেম্বারগুলিও ফের খুলতে বলেছেন। তবে সামাজিকভাবে যে দূরত্ব রাখার কথা সেই নিয়ম যাতে কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়, চিকিৎসকদের প্রতি এই অনুরোধও করেন তিনি।
৪ মে থেকে শিথিল করা হতে পারে একাধিক জেলায় লকডাউন বিধি: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
এদিকে, লকডাউন বাতিলের পরে রাজ্যের হাসপাতালগুলোর পরিষেবা যাতে স্বাভাবিক থাকে তার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ একটি নির্দেশিকা জারি করেছে যাতে রাজ্য পরিচালিত হাসপাতালগুলিতে ভিড় সামলাতে একটি নীলনকশা তৈরির কথা বলা হয়েছে। "এই লকডাউন কবে, কখন এবং কীভাবে তোলা হবে সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও ধারণা এখনই পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এটা নিশ্চিত যে আমাদের ধীরে ধীরে পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পর্যায়ক্রমে হাসপাতালগুলোর পরিষেবা স্বাভাবিক করতে হবে", ওই নির্দেশিকায় একথাই বলেছে স্বাস্থ্য দফতর।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)