This Article is From Jun 02, 2020

কোয়ারান্টাইন সেন্টার ছাড়ার সময় পরিযায়ীদের কন্ডোম, গর্ভনিরোধক ওষুধ দিচ্ছে সরকার

Coronavirus Bihar: কন্ডোম এবং গর্ভনিরোধক ওষুধ বিলি করে রাজ্য স্বাস্থ্য সমিতি

কোয়ারান্টাইন সেন্টার ছাড়ার সময় পরিযায়ীদের কন্ডোম, গর্ভনিরোধক ওষুধ দিচ্ছে সরকার

Coronavirus: কোয়ারান্টাইন সেন্টার ছাাড়ার সময় পরিযায়ীদের কন্ডোম, গর্ভনিরোধক ওষুধ দিচ্ছে সরকার (পিটিআই)

পটনা:

করোনা ভাইরাস লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) কারণে বিহারের (Bihar) বিভিন্ন কোয়ারান্টাইন সেন্টার থেকে চলে যাওয়ার সময় পরিযায়ীরা কন্ডোম ও গর্ভ নিরোধক ওষুধ পাচ্ছেন রাজ্য স্বাস্থ্য সমিতির থেকে। দেশের মধ্যে মহিলা পিছু সন্তান প্রসবের সবচেয়ে বেশি হার  বিহারে, ৩.৪ শতাংশ বলে ২০১৬ সালের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিবার সমীক্ষায় জানানো হয়েছে। মার্চ ও নভেম্বরে সেরাজ্যে বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষ্যে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন পরিযায়ী শ্রমিকরা, ফলে তারপর প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বেড়ে যায়। রাজ্যের স্বাস্থ্য সমিতির সচিব মনোজ কুমার বলেন, “আমরা কন্ডোম ও গর্ভনিরোধক ওষুধ বিলি করছি, কারণ আমরা দেখেছি মার্চ ও নভেম্বরে হোলি, দিওয়ালি ও ছট পুজোর সময় অনেক পরিযায়ী গ্রামের বাড়়িতে ফেরেন এবং তারপর ৯ মাস প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব নিয়ে সঙ্কট দেখা দেয়, তবে বেশ কয়েকমাসে তা কমেছে”।

কন্ডোম এবং গর্ভনিরোধক ওষুধ বিলি করে রাজ্য স্বাস্থ্য সমিতি। স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে সরাসরি অর্থের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব রয়েছে তাদের। মনোজ কুমার জানান, “ব্যপকভাবে” কন্ডোম এবং গর্ভনিরোধক ওষুধ বিলি করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, “দেশের মধ্যে জন্মের সবচেয়ে বেশি হার বিহারে”।

ধীরে ধীরে কড়াকড়ি শিথিল করার মাধ্যমে পঞ্চম দফার লকডাউন জারি করেছে সরকার, তবে অর্থ ও খাবারের সঙ্কটের কারণে দিল্লি ও মুম্বইয়ের মতো বড় শহরগুলি থেকে বিহারে নিজেদের গ্রামের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন পরিযায়ীরা।

ইতিমধ্যেই বিহারে নিজেদের এলাকায় ফিরেছেন ২২ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক, তাঁদের ফেরানোর জন্য চালু করা শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন বন্ধ হতে পারে। সোমবার সেরাজ্যে গিয়েছে মাত্র ২৩টি ট্রেন, আগে দৈনিক ১৪০টি করে ট্রেন চলত। আজ সেই সংখ্যাটা আরও কমার সম্ভাবনা।

মে মাসে আন্তরাজ্য যাতায়াত চালু হওয়ার পর থেকে বিহার সরকারের হিসেব অনুযায়ী, হেঁটে এবং শেয়ার করা বিভিন্ন গাড়িতে বিহার ফিরেছেন প্রায় ১০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক।

যদিও সেরাজ্যের কতজন লোক রোজগারের জন্য ভিন জায়গায় গিয়েছেন, তার কোনও সরকারি হিসেব নেই, তবে মার্চে লকডাউন ঘোষণার পর নিতিশ কুমারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া ১,০০০ টাকা আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ২৯ লক্ষ মানুষ।

.