Read in English
This Article is From Mar 07, 2020

করোনা সচেতনতায় উদ্যোগী বিএসএনএল এবং জিও, কাশির আওয়াজের সঙ্গে বার্তা

Coronavirus Outbreak: "কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় আপনার মুখ রুমাল দিয়ে ঢাকুন, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখুন", দেওয়া হচ্ছে বার্তা

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Coronavirus in India: চলতি সপ্তাহে ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা (প্রতীকী ছবি)

Highlights

  • দেশের মানুষকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে উদ্যোগী কেন্দ্র
  • বিএসএনএল এবং জিও-র মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সচেতনতা বার্তা
  • বর্তমানে ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৩১ জন
নয়া দিল্লি:

জিও বা বিএসএনএল ব্যবহারকারী কারও ফোনে কল করে হঠাৎই খুক খুক কাশির আওয়াজ শুনে ঘাবড়ে যাবেন না, আসলে এ সবই করোনা ভাইরাস নামের মৃত্যুদূত থেকে দেশের মানুষকে সচেতন করার এক প্রচেষ্টা। গত ডিসেম্বরে যে করোনা ভাইরাসের প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় চিনের উহান প্রদেশে, সেই ভাইরাস এখন তার প্রভাব বিস্তার (Coronavirus Outbreak) করে ফেলেছে বিশ্বের ৯০ টিরও বেশি দেশে। ভারতও (Coronavirus in India) তার ব্যতিক্রম নয়, এদেশে এখনও পর্যন্ত ৩১ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। অনেকেই বলছেন, মানুষের সচেতনতার অভাবেই এই রোগ এত বেশি করে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই এবার দেশবাসীকে এই মারণ ভাইরাস (Coronavirus) থেকে সতর্ক করতে উদ্যোগ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। আপাতত বিএসএনএল এবং জিও ফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে এই সচেতনতা বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তাঁরা।

"কোভিড ১৯-এর বিস্তার রোধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে দেশের মানুষকে সচেতন করার জন্য, কেন্দ্রীয় সরকার একটি কল-সচেতনতামূলক বার্তা দিয়েছে", সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন এক স্বাস্থ্য আধিকারিক।

করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে "তাজমহল সহ সমস্ত স্মৃতিসৌধ বন্ধ" রাখার সুপারিশ

Advertisement

জানা গেছে, কাশির শব্দের মাধ্যমে ওই করোনা সচেতনতা বার্তাটি শুরু হচ্ছে। "নভেল করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকাতে পারেন আপনিই। কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় আপনার মুখ রুমাল দিয়ে ঢেকে রাখুন, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখুন", হিন্দি এবং ইংরেজীতে দেওয়া হচ্ছে এই বার্তা।

ওই সচেতনতা বার্তায় আরও বলা হয়েছে, "মুখ, চোখ বা নাকে হাত দেওয়া এড়িয়ে চলুন। কারও যদি কাশি, জ্বর বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখেন তবে তাঁর থেকে অন্তত ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে অবিলম্বে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান"।

Advertisement

ভূস্বর্গেও করোনার থাবা, মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে দু'জনের উপর নজরদারি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু অনুসারে, এই রোগে গোটা বিশ্বে এক লক্ষেরও বেশি লোক সংক্রামিত হয়েছে এবং ৩,৫০০ জন মারা গেছে। ভারতে প্রায় ২৯ হাজার মানুষকে কড়া চিকিৎসা নজরদারিতে রাখা হয়েছে, এদেশে এখনও পর্যন্ত ৩১ জনের দেহে ওই মারণ ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলেছে, তার মধ্যে আবার ১৬ জন ইতালিয় পর্যটকও রয়েছেন। চিনের পরেই এই মারণ ভাইরাস যেখানে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে তা হল ইতালি। সেখানে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

Advertisement