নয়াদিল্লি:
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গিয়েছে ১,৬৯৪ জন মানুষের এবং দেশে এখনও পর্যন্ত ৪৯,৩৯১ টি কোভিড-১৯ পজিটিভ কেস পাওয়া গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২,৯৫৮ টি নতুন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে এবং ১২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে সফলভাবে এই অসুখের সঙ্গে লড়াই করে সেরে ওঠা রোগীদের সংখ্যা আজ, বুধবার সকালে ২৮.৭১ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ১৪,১৮৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অত্যন্ত সংক্রামক এই ভাইরাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৈরি বিশেষ টাস্কফোর্সের একটি সভার সভাপতিত্ব করেন। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ভ্যাকসিনের বিকাশ, ওষুধ আবিষ্কার, নির্ণয় এবং পরীক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের প্রচেষ্টার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা। বৈঠকের পরে, সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে করোনাভাইরাসের ৩০ টিরও বেশি ভ্যাকসিন বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। কয়েকটির ট্রায়ালও চলছে।
করোনাভাইরাসের সর্বশেষ ১০ টি তথ্য:
মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫,৫২৫। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১৭-তে।
দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ৫,১০৪ টি ঘটনা সামনে এসেছে, যার মধ্যে ৬৪ জন মারা গেছেন।
তামিলনাড়ুতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০৮ জনের দেহে কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে, মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ৪,০০০। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পজিটিভ ধরা পড়েছে এমন বেশিরভাগ মানুষই দেশের অন্যতম বৃহৎ শাকসবজি এবং ফলের বাজার, কোয়েমবেদুর সঙ্গে যুক্ত। এই বাজারটি রাজ্যের কোভিড-১৯ ঘটনার এপিসেন্টার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
ভারতে সফলভাবে অসুখের সঙ্গে লড়াই করে সেরে ওঠা রোগীদের সংখ্যা বুধবার সকালে ২৮.৭১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ১৪,১৮৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য জানিয়েছেন, এই মারাত্মক ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শীর্ষসীমা এখনও আসেনি এবং আগামী ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে ভারতে চরম প্রভাব প্রত্যক্ষ করা যেতে পারে, শীতকালে আরও কিছুটা প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
সোমবার মদে দোকান খোলার পরে কয়েকশো মানুষ মদের দোকানের বাইরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পড়েন ভোর থেকেই।
ভারতে এখন তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে। করোনামুক্ত এবং মাঝারি ঝুঁকির অঞ্চলগুলিতে যথেষ্ট শিথিলতার লাগু হয়েছে।
বিমান, রেল, মেট্রো এবং সড়ক পথে আন্তঃরাজ্য চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। স্কুল, কলেজ, হোটেল, রেস্তোঁরা; সিনেমা, মল, শপিং সেন্টার, জিম এবং স্পোর্টস কমপ্লেক্সগুলিও বন্ধ থাকবে। সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় সমাবেশও অনুমোদিত নয়।
বিশ্বব্যাপী, ৩৬,৬৩,৮১৫ জনেরও বেশি মানুষের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ২,৫৭,২৭৮ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছেন।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে মার্কিন অর্থনীতি পুনরায় চালু করতে হলে আরও আমেরিকান মারা যাবেন। তবে তিনি সম্প্রতি একটি মুখোশ তৈরির কারখানায় গিয়েও মুখোশ পরতে অস্বীকার করেন। ক্রমবর্ধমান করোনাভাইরাসের আশঙ্কাকে ভয় না করার দিকেই ট্রাম্প নজর দিচ্ছেন বলে খবর।
Post a comment