কেন্দ্রের পাশাপাশি দিল্লিতে সংক্রমণের হার কমাতে তৎপর হল রাজ্য সরকার (Delhi Government)। বৃহস্পতিবার টুইট করে সেই ইঙ্গিত দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। এই তৎপরতার নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন শিল্ড (Operation Shield)। এই অপারেশন শিল্ডের ছয়টি ধাপ আছে। দেখে নেওয়া যাক সেই ধাপগুলো-- সিলিং, হোম কোয়ারান্টাইন, আইসলেশন এবং চিহ্নিতকরণ, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ, সাফাই অভিযান আর দরজায়-দরজায় গিয়ে খবরদারি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejariwal) বলেছেন, "রাজ্যের ২১টি এলাকাকে সংক্রমিত (Corona) হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এই এলাকা সিল করা হয়েছে। নাগরিকদের এই এলাকা থেকে প্রবেশ-প্রস্থানে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে।" তাঁর সংযোজন, "এই এলাকার নাগরিকদের হোম কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে।বাড়ি ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছে। এলাকার সংক্রমিতদের চিহ্নিত করে আইসোলেট করা হবে। যারা সংস্পর্শে এসেছে তাঁদের খুঁজে বের করা হবে।"
এই এলাকাগুলোতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বাড়িতে সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি চলবে সাফাইয়ের কাজ। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা খোঁজ নেবেন কেউ সংক্রমিত কিনা। এদিন জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, মালব্য নগর, বাঙালি বাজার, ময়ুর বিহার, দ্বারকা, নিজামুদ্দিন, সীমাপুরী, ঝিলমিল-সহ ২১টি এলাকা এই শিল্ডের অন্তর্ভুক্ত।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৯৩ জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছে। মোট সংক্রমিত ৬৬৯। মৃতও ৯ আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১ জন।
হাওড়া জেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্তা-সহ দু'জন সংক্রমিত, জানাল স্বাস্থ্য দফতর
দেখে নিন সেই টুইট:
এদিকে, করোনা সংক্রমণ চিহ্নিত করতে নতুন পদ্ধতি দত্তক নিল আইসিএমআর।স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই সংস্থার (ICMR) বেঁধে দেওয়া গাইডলাইন মেনে এযাবৎকাল সংক্রমণ প্রতিরোধে উদ্যোগ নিয়েছে। জানা গিয়েছে, নতুন পদ্ধতিতে সবার আগে সিল করা হয়েছে আঁতুড়ঘর। তারপর বাড়ানো হয়েছে নমুনা পরীক্ষার হার। সেই আঁতুড়ঘরের (Hotspot) বাসিন্দারা সংক্রমিতের সংস্পর্শে না আসলেও করা হচ্ছে তাঁদের পরীক্ষা। যদি তাঁদের শরীরে উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়, তবেই হবে নমুনা পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে আইসিএমআর। গত তিন সপ্তাহে পাঁচ ধরনের মানুষের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
১) যারা গত দু'সপ্তাহে বিদেশ থেকে উপসর্গ নিয়ে এসছেন।
২) সংক্রমিতদের সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত হয়েছেন। নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ।
৩) উপসর্গ আছে এমন স্বাস্থ্যকর্মীদের।
৪) শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আছে এমন রোগী।
৫) উপসর্গ নেই কিন্তু সংক্রমিতের সংস্পর্শে এসেছেন, এমন নাগরিক।
পরিবহন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আংশিক শিথিল করার ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর
এদিকে, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় জাতীয় ও রাজ্য স্তরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে মজবুত করতে পুরোপুরি কেন্দ্রীয় উদ্যোগে ১৫,০০০ কোটি টাকার পাঁচ বছরের এক স্বাস্থ্য প্রকল্পের অনুমোদন মিলল বুধবার। সরকারের তরফে একথা জানানো হয়েছে। এটি তিনটি দফায় বিভক্ত। প্রথমটি ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুন। পরেরটা ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের মার্চ। তৃতীয়টি ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ। এই তহবিলকে প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হবে। এই প্রকল্পের অধীনে যেসব পরিকল্পনা রয়েছে তার অন্যতম কোভিড-১৯ হাসপাতাল, আইসিইউ নির্মাণ এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অক্সিজেন সরবরাহ।
World
India
State & District Details
State | Cases | Active | Recovered | Deaths |
---|