Covid-19: ওই জাহাজে ৩ জন ভারতীয় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে খবর মিলেছে
হাইলাইটস
- করোনা ভাইরাস আক্রান্ত জাহাজ থেকে ভারতীয়দের উদ্ধারের চেষ্টা করছে দূতাবাস
- জাপান উপকূলে আটকে থাকা জাহাজে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কয়েকজন রোগী আছেন
- সুস্থ অবস্থায় থাকা ভারতীয়দের জাহাজ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে
টোকিও: করোনা ভাইরাস ক্রমশই থাবা বসাচ্ছে গোটা বিশ্বে। কিছুদিন আগে হংকং থেকে ৩,৭১১ জন যাত্রী নিয়ে রওনা দেয় ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস' নামের একটি জাহাজ। পরে জানা যায়, সেই জাহাজের বেশ কয়েকজন রোগী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। ধীরে ধীরে জাহাজের অন্য যাত্রীদের মধ্যেও ছড়াতে শুরু করে ওই মারণ ভাইরাস (Coronavirus)। ফলে জাপানের উপকূলেই আটকে দেওয়া হয় জাহাজটিকে। ফলে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের সঙ্গে ওই জাহাজে আটকে পড়েছেন সুস্থ মানুষজনও, কিন্তু এই মুহূর্তে তাঁরা মৃত্যুর কড়ানাড়া শুনতে পাচ্ছেন। কেননা যে কোনও দিন সংক্রামিত ব্যক্তিদের থেকে তাঁদের শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে করোনা ভাইরাসের মৃত্যুদূত। সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হল,‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস' নামের জাহাজটিতে আটক অন্য যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন ১৩৮ জন ভারতীয়ও। তাঁদের একটাই আর্তি, যে কোনওভাবে তাঁদের ওই জাহাজ থেকে উদ্ধার করুক ভারত সরকার। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, জাহাজের যাত্রীদের মধ্যে ৩ ভারতীয় সহ এখনও পর্যন্ত মোট ২১৮ জন মানুষ এই মারাত্মক সংক্রমণে (COVID-19) আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে জাপানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস (Indian Embassay in Japan) জানিয়েছে, তারা যে কোনও উপায়ে সুস্থ ভারতীয়দের ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস' (Coronavirus Cruise Ship) থেকে উদ্ধার করে আনার চেষ্টা করছে।
করোনা আক্রান্ত জাহাজ থেকে তরুণী ভারতীয় আধিকারিকের আর্তি, ‘‘বাড়ি ফিরতে চাই''
সেই লক্ষ্যে ভারতীয় দূতাবাস জাপান কর্তৃপক্ষ, শিপ ম্যানেজমেন্ট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে জাহাজের মধ্যে আটকে পড়া সুস্থ ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি যে ৩ ভারতীয় ওই জাহাজের মধ্যেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের চিকিৎসা সম্পর্কেও খোঁজখবর নিচ্ছে ভারতীয় দূতাবাস।
"তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং তাঁদের স্বাস্থ্যের উন্নতি যাতে হয় সে ব্যাপারটিও নিশ্চিত করা হয়েছে। জাহাজে চলাচলকারী সমস্ত ভারতীয় নাগরিকের সুস্থতা নিশ্চিত করতে দূতাবাস সংশ্লিষ্ট জাপানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে", জানিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস।
প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন করোনা পরিস্থিতি, আশ্বস্ত করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অন্যদিকে চিনে ক্রমশই মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, এখনও পর্যন্ত সে দেশে নতুন করে ১৪৩ জনের মৃত্যু হওয়ায় করোনা ভাইরাসের ছোবলে মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১,৫২৩ জনে। বর্তমানে ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, শনিবারই জানিয়েছেন চিনের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
এদিকে চিন থেকে কোনওভাবে যাতে ভারতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে তাতে সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করছে ভারত। এই মারণ রোগের কারণে দিল্লি-হংকং বিমানগুলি সাময়িকভাবে বাতিলের কথা জানিয়েছে স্পাইস জেট। আগামী ১৬ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লি থেকে হংকংগামী বিমানগুলি বাতিল করা হচ্ছে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে ইতিমধ্যেই ভারত-চিন বিমান যোগাযোগ বাতিল রাখার কথা জানানো হয়েছে। এদিকে আবার ডিজিসিএ নয়া নির্দেশ জারি করেছে। সব বিমান সংস্থাকে বলা হয়েছে, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে নামার পরই স্ক্যান করতে হবে। করোনা মোকাবিলায় এতদিন চিন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও হংকং থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্যান করার নির্দেশ জারি ছিল। এবার সেই তালিকায় আরও দু'টি দেশের নাম যোগ করা হল।