হাজারের বেশি শ্রমিক শনিবার জড়ো হয়েছিলেন আনান্দবিহার বাস টার্মিনাসে (ফাইল)
নয়া দিল্লি: শ্রমিক-কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্র ছেড়ে নিজের রাজ্যে ফেরার প্রবণতা কমাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ (No Rent, Timely Wages) নিল কেন্দ্র। রবিবার, লকডাউনের (Nationwide Lockdown) ) ষষ্ঠ দিনে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পথে শ্রমিকের ঢল কমাতে ব্যবস্থা নিক রাজ্য। যে যেখানে আছে, সেখানেই তাঁদের আটকিয়ে দু'সপ্তাহের কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হোক। তৈরি হোক স্থানীয় স্তরে আইসোলেশন কেন্দ্র। মালিকপক্ষ নিশ্চিত করুক কোনও কর্মীর বেতন কাটবে না। সময়ে সেই বেতন হস্তান্তর করবে। গরিব শ্রমিক এবং পরিযায়ী কর্মীদের (Migrant Workers) থেকে একমাসের বাড়িভাড়া নিতে পারবেন না বাড়ির মালিকরা। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। এদিন সেই নির্দেশিকায় উল্লেখ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই উল্লেখে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বাড়ির মালিকেরা, ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদের চেষ্টা করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকাগুলোকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে আবেদন জানিয়েছে মন্ত্রক।
‘মন কি বাত'-এ প্রধানমন্ত্রী: ‘‘লকডাউন লঙ্ঘন করার অর্থ নিজের জীবন নিয়ে খেলা''
সেই নির্দেশে আরও উল্লেখ, "রাজ্য সীমান্ত বন্ধ করুন আর পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকান। এভাবে লকডাউনের যৌক্তিকতা নিশ্চিত করুন। এই মর্মে অঙ্গরাজ্যগুলো এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। যে শ্রমিক, যেখানে আটকে, তাঁকে সেখানেই থাকার ব্যবস্থা করে দিন। খাওয়ার, জল ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করুন। কেন্দ্রীয় তরফে রবিবার এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে দেশব্যাপী ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজের রাজ্যে ফিরতে পথে নেমেছে।
বিদেশি বিমান চালাননি, তাও করোনা পজেটিভ স্পাইস জেটের বিমান চালকের
অভিযোগ, "যেহেতু কর্মকাণ্ড বন্ধ। তাই তাঁদের দায় নিচ্ছে না মালিকপক্ষ। কোনও কোনও জায়গায় আবার বাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছে শ্রমিকদের।" এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে গ্রামে ফেরাই এখন উপায়, সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন অনেক শ্রমিক। ফলে এই উপায় বাস্তবায়িত করতে দেশের বিভিন্ন শহরের বাস স্ট্যান্ডে উপচে পড়ছে ভিড়। গাদাগাদি হয়ে বাসে সওয়ার হচ্ছেন অনেক শ্রমিক। শনিবার দিল্লির (Delhi) আনন্দবিহার বাস টার্মিনাসের ছবি দেখে শিহরিত নাগরিক সমাজ। বাড়িও ফেরার তাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে বাসের অপেক্ষায় শয়ে-শয়ে শ্রমিক ও তাঁর পরিবার। এই পরিস্থিতির বদল চাইছে কেন্দ্র। এমনটাই খবর সরকারি সূত্রে।