২১ দিন ব্যাপী চলা লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এই পরিযায়ী শ্রমিকরা। (ফাইল ছবি)
হাইলাইটস
- নাগপুর থেকে তামিলনাড়ুর গ্রামের বাড়িতে ৫০০ কিমি পৌঁছতে পথে নামে একদল
- তাঁদের মধ্যে ১০ জন পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন।
- সেই শ্রমিকদের মধ্যে এক যুবক দীর্ঘ পথের ক্লান্তি সইতে না পেরে মারা গিয়েছ
হায়দরাবাদ: নাগপুর থেকে তামিলনাড়ুর নামাক্কাল ৫০০ কিমি। লকডাউনের (Nationiwide Lockdown) মধ্যে বাড়ি পৌঁছতে সেই পথ হাঁটতে গিয়ে মরতে হল এক শ্রমিককে। জানা গিয়েছে, বছর ২৩-এর লোগেশ বালাসুব্রমনিয়াম , দীর্ঘ পথ হেঁটে মাত্র সেকেন্দ্রাবাদ পৌঁছতে পেরেছিলেন। সেখানেই এক আশ্রয় শিবিরে মৃত্যু হয় তাঁর। দিন কয়েক আগে পরিযায়ী শ্রমিকদের দলে দলে পথে নামা নিয়ে বিতর্ক বেড়েছিল। সহায়হীন-সম্বলহীন, কর্মহীন এই শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু সেই পরামর্শ যে খাতায় কলমে, তা লোগেশের মৃত্যু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। এমন অভিযোগ বিরোধীদের। লোগেশের সঙ্গে গ্রামের ফিরতে পথে নেমেছিলেন অপর এক শ্রমিক সত্যা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, "আমরা গত ৩ দিন ধরেই হাঁটছি। রাস্তায় এখনও কোনও পরিবহণ পায়নি। কিছু লোক এগিয়ে এসে খাবার তুলে দিচ্ছেন। কিছু ট্রাক আমাদের এগিয়ে দিচ্ছে। সেই ট্রাক চালকরা আবার পুলিশি হেনস্থার মুখে পড়ছেন।" জানা গিয়েছে সত্যা, মৃত লোগেশ-সহ ১০ জনের একটি দল কর্মক্ষেত্র নাগপুর থেকে তামিলনাড়ুর গ্রামের উদ্দেশে হাঁটা শুরু করেছিল সোমবার। আর বুধবার রাতেই ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা। এনডিটিভি যখন সেই আশ্রয় শিবিরে পৌঁছয়, তখন আকস্মিক এই ঘটনায় অত্যন্ত বিচলিত লোগেশের বন্ধুরা। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যে ছেলেটি তাঁদের সঙ্গে ছিল, রাতের মধ্যেও মারা গেল! এটাই বিশ্বাস করতে পারছে না ওরা।
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,০০০ পেরলো, মৃতের সংখ্যা ৫৩: ১০টি তথ্য
![06jm9uj8](data:image/svg+xml;base64,PD94bWwgdmVyc2lvbj0iMS4wIiBlbmNvZGluZz0idXRmLTgiPz4KPCEtLSBHZW5lcmF0b3I6IEFkb2JlIElsbHVzdHJhdG9yIDI0LjMuMCwgU1ZHIEV4cG9ydCBQbHVnLUluIC4gU1ZHIFZlcnNpb246IDYuMDAgQnVpbGQgMCkgIC0tPgo8c3ZnIHZlcnNpb249IjEuMSIgaWQ9IkxheWVyXzEiIHhtbG5zPSJodHRwOi8vd3d3LnczLm9yZy8yMDAwL3N2ZyIgeG1sbnM6eGxpbms9Imh0dHA6Ly93d3cudzMub3JnLzE5OTkveGxpbmsiIHg9IjBweCIgeT0iMHB4IgoJIHZpZXdCb3g9IjAgMCAxNDAgMTA2IiBzdHlsZT0iZW5hYmxlLWJhY2tncm91bmQ6bmV3IDAgMCAxNDAgMTA2OyIgeG1sOnNwYWNlPSJwcmVzZXJ2ZSI+CjxzdHlsZSB0eXBlPSJ0ZXh0L2NzcyI+Cgkuc3Qwe29wYWNpdHk6Ny4wMDAwMDBlLTAyO2ZpbGw6I0YxRjNGNzt9Cgkuc3Qxe29wYWNpdHk6MC4zNDtmaWxsOiNBRkFGQUY7ZW5hYmxlLWJhY2tncm91bmQ6bmV3ICAgIDt9Cjwvc3R5bGU+CjxyZWN0IGNsYXNzPSJzdDAiIHdpZHRoPSIxNDAiIGhlaWdodD0iMTA2Ii8+CjxkZXNjPkNyZWF0ZWQgd2l0aCBTa2V0Y2guPC9kZXNjPgo8cGF0aCBjbGFzcz0ic3QxIiBkPSJNMTAzLjcsNDYuMkw5OC4zLDU3bC01LjktMTAuN0g2My41aC0wLjRoLTguOXY0LjZjMS4yLDAuMywyLDEuNCwyLDIuNmMwLDEuMi0wLjksMi4yLTIsMi42djQuNmg4LjlsMCwwaDMKCWM0LjMsMCw2LjMtMi41LDYuMy02LjZ2LTEuNWMwLTAuNCwwLTEuNi0wLjMtMi44aDYuOHYxMWg0LjN2LTExaDYuMWw2LjEsMTFoNS41bDcuNy0xNC40SDEwMy43eiBNNjgsNTVjMCwxLjQtMC44LDIuMi0yLjYsMi4yaC0yCgloLTAuNGgtNC41di03LjZoNC45bDAsMGgyYzEuNywwLDIuNiwwLjksMi42LDIuMlY1NXoiLz4KPHBhdGggY2xhc3M9InN0MSIgZD0iTTUwLjgsNTMuNGMwLTEuMiwwLjktMi4zLDItMi42di00LjVoLTQuNXYxMC4yaC0wLjJjLTAuOSwwLTEuNS0xLTEuOC0xLjRsLTIuNS01Yy0xLjItMi40LTMuMi0zLjgtNS42LTMuOAoJaC00Ljd2MTQuNGg0LjZWNTAuNGgwLjJjMSwwLDEuNiwxLjEsMS44LDEuNGwyLjYsNWMxLjEsMi40LDMuMiwzLjgsNS41LDMuOGg0LjdWNTZDNTEuNiw1NS43LDUwLjgsNTQuNyw1MC44LDUzLjR6Ii8+Cjwvc3ZnPgo=)
এনডিটিভির তরফে খবর পেয়ে মৃতের দেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের অঙ্গ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে সপার্ষদ এই বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী । মুখ্যমন্ত্রীদের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন বৃহস্পতিবারের এই বৈঠকে। এই কনফারেন্স বৈঠকে সংক্রমিতের সংখ্যা পর্যালোচনায় কৌশল রচনা করা হয়েছে। সংক্রমিতের সংস্পর্শে কে বা কারা এসেছে, সেটা কীভাবে সঠিক উপায়ে চিহ্নিত করা সম্ভব। সেই বিষয়ে বৈঠক হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীদের প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, "লকডাউন পর্ব মিটলেও নিয়ন্ত্রিত করতে হবে মানুষের গতিবিধি। আসুন, এ বিষয়ে আমরা যৌথ কৌশল রচনা করি। লকডাউন পরবর্তী অবস্থায় সীমিত গণ-জমায়েত ও সামাজিক দুরত্ব যাতে বজায় থাকে সেটা নিশ্চিত করি।"
"সংক্রমণ নিয়ে রাজনীতি করছে কংগ্রেস", টুইট করে তোপ অমিত শাহের
এদিকে, ক্রমশই নিজের শক্তি বাড়িয়ে চলেছে মৃত্যুদূত করোনা। সংক্রমণ এড়াতে দেশে ২১ দিনের টানা লকডাউন পর্ব চলার মধ্যেই মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের।